সংবাদ মূলত কাব্য
১২ জুলাই ২০২২ মঙ্গলবার কলকাতা স্টেশন সংলগ্ন খালধারে দিনদুপুরে ধর্ষিতা হলো বাউল শিল্পী
ধর্ষণ,ধর্ষক বা ধর্ষিতা শব্দটি অসংসদীয় নয়। যৌন নিপীড়নকারী শব্দটি নাকি অসংসদীয়! তার মানে কি? ধর্ষণ চলবে,এই দেশ ধর্ষণ উপত্যকায় পরিণত হবে?
ধর্ষিতা একতারাটি পড়ে আছে
তমাল সাহা
বেজে চলে একতারা–
মন চলো বৃন্দাবনে, মন বলে রাধে! রাধে!
যে বাউলানি এই গানটি শুনিয়েছিল সতীমার মেলায়,
সে এখন শুয়ে আছে অসাড় কলকাতা স্টেশনের খালধারের এক নির্জন কোণে।
আমার মনে পড়ে যায় সেই সুর, মন চলো বৃন্দাবনে, শ্রীধামে।
ইস্টিশান রে ইস্টিশান!
জীবনের ইস্টিশানে কত গাড়ি আসে যায়,
কু ঝিকঝিক, স্টিমের ধোঁয়া ওড়ে,
গার্ডবাবু নিশান ওড়ায় আর হাত নাড়ায়
ট্রেন তো জোরে আগায় কত যে শব্দ করে!
কে যে আসল গার্ড বাবু চিনলাম না তারে!
মন বলে রাধে রাধে,
হায় কে খায় আর কে রাঁধে! বাউলানি আমায় গানের ধরতাইয়ে বলেছিল, আট কুঠুরি নয় দরজা
রে মন ভজলে তুই তার পাবি দেখা।
দরজা ভেঙে কুঠুরিতে ঢুকলে ডাকাত
তুই হবি রে কুপোকাত।
তোর সব ধন যে লুটপাট–
রে মন,কি হবে এখন?
কোন বিধাতা পাঠলো শমন!
বাউলানি বলে, আমি তো দেহে নারী
এই দেহই যত সর্বনেশে কেলেঙ্কারি,
তারেই শুধু দিতে পারি
যে আমার সুরে সুরি।
তোর ওই নোংরা হাত দূরে সরা
ময়লা মনে তার কাছে যে যেতে নারি।
খা খা সব খা, খিদে যে তোর বড় ভারি
আমার সর্ব অঙ্গ খাবলে খা, খুবলে খা
যা ইচ্ছে কর গে যা!
ভবে এসে সব দেখিলাম
এই অঙ্গে ধুতু দিলাম,আর হব না জীব-নারী।
এই অঙ্গ শোভন অঙ্গ,এই অঙ্গেই সব কেলেঙ্কারি।