অবতক খবর,উত্তর দিনাজপুর: ধ্রুপদীর এক শীত সন্ধ্যা মুখরিত হলো সুরে ও ছন্দে।সূর্যাস্তের গোধূলি বেলা যখন আকাশে রং ছড়াতে শুরু করেছে ঠিক তখন অজস্র রাগে মন্দ্রিত হলো এই পর্ব।২ ফেব্রুয়ারি ইসলামপুর ডরমেটোরি হলে আয়োজিত “মন মন্দিরা” শীর্ষক ওই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান ছিল ইসলামপুর কালচারাল ইউথ ফেস্টিভেল এর এক অনন্য নিবেদন।যে সংস্থা সারা বছর ধরেই শহর জুড়ে নানান অনুষ্ঠান এর আয়োজন করে যাচ্ছে।যার উদ্যোক্তা শিক্ষক সৌভিক চক্রবর্তী।
এদিন নট ভৈরব রাগে গীতিকা বৈদ্য ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের ঘরানাকে নিয়ে এলেন উদ্বোধনীতে। শিশু শিল্পী রূপকথা নন্দী তারানায় মগ্ন করে রাখলো সবাইকে।একটানা আধঘণ্টা ধ্রুপদী নৃত্যে সবাইকে মাত করে রাখলেন স্মৃতিকনা রায়।বহিরাগত শিল্পী সাত্যকী চক্রবর্তী ইমন রাগে শুরু করলেন তার একক অনুষ্ঠান।এরপর শোনালেন চতুরঙ্গ ।মিঞা মল্লার রাগে।আহা!লাজবাব। মহারাষ্ট্রের রাগাশ্রয়ী গানে এদিনের অনুষ্ঠানের শীর্ষক মন মন্দিরাকে নিয়ে এলেন তিনি।এরপর ঠুমরি1সেই আবহে তিনি সকলকে নিয়ে গেলেন যমুনা কিনারে।তার শেষ নিবেদন ছিল বৃন্দাবনি সরঙ এর উপর গাওয়া একটি ভজন।
হারমোনিয়ামে মিঠুন সাহা ও তবলায় অনিন্দ্য সিংহ নিয়োগী।যেন এক অসাধারণ দক্ষতার পরিস্ফুটন ঘটেছে সেখানে।বিমুগ্ধ শ্রোতার মতো সংগীত প্রেমী দর্শকরা নিজেদের অনুভূতিকে যেন নতুন ভাবে নির্মাণ করলেন এদিন ।তারাই ধ্রুপদীর জন্য তৈরী করলেন পিন ড্রপ সাইলেন্স।
বাচিক শিল্পী গিতালী চক্রবর্তীর আবৃত্তিতে শোনা গেল দরবারী তান এর পাশাপাশি বিসমিল্লার সানাই সুরের শব্দও।বন্দিত হলো হৃদয়ে। এদিন মঞ্চে ধ্রুপদীর আবহ তৈরি করার জন্য ছিল চিত্রশিল্পী দেবাঙ্গণ মন্ডল এর আঁকা ছবির প্রদর্শনী। যা এক নান্দনিক প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল সন্দেহ নেই। পাশাপাশি উৎস নামে একটি সমাজ কল্যাণ মূলক সংস্থার তরফে ছিল সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের আঁকা ছবির প্রদর্শনও। এছাড়াও অনুষ্ঠানকে সফল করবার প্রয়াসে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন অভিজিৎ সাহা,চঞ্চল যাদব এবং আকাশ পোদ্দার।
এহেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন দেখে রীতিমতো আপ্লুত যন্ত্র সংগীত শিল্পী প্রদীপ চক্রবর্তী, সংগীত শিল্পী সঞ্জীব বাগচী, নৃত্য শিল্পী শিপ্রা রায়,সমাজ কর্মী স্বরূপনান্দ বৈদ্য,রাধ্যেশাম দে সরকাররাও।উপস্থিত ছিলেন ইসলামপুর থানার আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা।