অবতক খবর: দুর্নীতি নিয়ে বারবার সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘পিস রুম’ খুলেছিলেন তিনি। আর এবার রাজভবনে ‘অ্যান্টি করাপশন সেল’ খুললেন রাজ্যপাল। ওই হেল্পলাইনে ফোন করে দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে পারবেন যে কেউ। এই ইস্যুতেই এবার মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যপাল দুর্নীতির বিষয়ে স্পেশাল সেল করছেন। এটা কিন্তু রাজ্যপালের কাজ নয়। যেটা রাজ্য সরকারের অধিকার, সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করছেন উনি। বাইরে থেকে এক্সপার্ট কেন আনছেন? রাজ্যে নেই? সরকার তো নাম পাঠাবে।’
পাশাপাশি নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে একহাত নিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় কিছুটা ধনখড় স্তুতিও শোনা গেল । তিনি বলেন, ‘ধনখড়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। কিন্তু উনি এটা করেননি। কেরালা থেকে নিয়ে এসে ভিসি করে দিচ্ছেন। এডুকেশনের লোক নয় এমন লোকদের ভিসি করা হচ্ছে। পুরোটাই কেন্দ্রের নির্দেশে কাজ করছেন।’
প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত এখন চরমে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের এক্তিয়ার জানতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে রাজ্য। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর থেকে।
গত সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বা ম্যাকাউটের সল্টলেক ক্যাম্পাসে ভাইস চান্সেলরদের নিয়ে ইউনিভার্সিটি কোঅর্ডিনেশন সেন্টারে বৈঠক করেন। এই বৈঠক নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “নির্বাচিত রাজ্য সরকার, শিক্ষা দপ্তরকে বাদ দিয়ে এটা উনি করতে পারেন কি না সেটা জানতে চাওয়ার জন্য আমরা শীর্ষ আদালতে যেতে চাইছি। নিশ্চয়ই এর সদুত্তর পাব।” পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজ্যপাল যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন, সেটা স্বৈরাচারের থেকে কম কিছু না। ’
সিভি আনন্দ বোস এখন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে আসীন। ইতিমধ্যেই তিনি ‘ইউনিভার্সিটি কো অর্ডিনেশন সেন্টার’ অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় কেন্দ্র তৈরি করেছেন। যা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। এর আগেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাত দেখেছে রাজ্য।