অবতক খবর,নদীয়া: সারাবছর অনুশীলন আর অনুষ্ঠানেই কেটে যায়! জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় কই? এই সৌজন্যের অভাব থেকেই প্রয়োজন দেখা দেয় বাৎসরিক অনুষ্ঠানের। প্রতি বছর ১ মাঘ টুসু অনুষ্ঠিত হয় নদিয়া তাহেরপুরে। এ বছর থেকে শুরু আরেকটি অনুষ্ঠানের। আদিবাসী উন্নয়ন সমিতি অনাদি পুর চককাম ডাঙ্গা শাখার আয়োজনে রানাঘাটে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠান। গতকাল সূচনা হয়েছিল,আজ তার অন্তিম দিন।
গতকাল উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত “লাল পাহাড়ির দেশে যা”শিল্পী ঝুমুরিয়া সুভাষ চক্রবর্তী। গতকাল ওয়াজ দিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ১২ টি দল অংশগ্রহণ করে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে এই শিল্পের গুরুত্ব বোঝানো এবং অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা বর্ণিত হয় আজকের মঞ্চ থেকে। প্রতিটি দলে একজন পুরুষ একজন মহিলা গায়িকা, দুজন ধামসা বাদক, দুজন মাদল বাদক, এবং একজন বাংলা খোল বাদক, ও আর জন নিত্য শিল্পী থাকেন। আজকের অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিধায়ক সমীর কুমার পোদ্দার মহাশয় তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে জানান “বর্তমান সরকার এই শ্রেণীর শিল্পগুণকে মর্যাদা দিয়ে বিভিন্ন সরকারি বিধি ব্যবস্থা ঘোষণা করে। শুধু সহযোগিতাই নয় সন্ধ্যা রানী টুডু সহ বেশ কিছু আদিবাসী পুরুষ ও মহিলা কে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন দল এবং সরকারি ভাবে। আমরাও জেলাগত ভাবে বিভিন্ন সরকারি দলীয় অনুষ্ঠানে তাদের অনুষ্ঠানের পারিশ্রমিক দিয়ে সচল রাখতে চেষ্টা করছি তাদের জীবনযাত্রার মান।”