অবতক খবর :: নদীয়া :: নদীয়া জেলার শান্তিপুর শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনহাট অঞ্চলের তোপখানাপারায় এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
জানা যায় পেশায় তাঁত শ্রমিক বিষ্ণুপদ মজুমদারের দুই কন্যা বিয়ে হয়ে যাওয়ায় স্বামী স্ত্রী ও একমাত্র পুত্র সন্তান প্রদীপ মজুমদার একই বাড়িতে থাকতেন। প্রিতমের বয়স ২৫ বছর, পড়াশোনা শেষ করার পর বাবার তাঁতের কাজে সহযোগিতা করার জন্য নিজেও তাত বুনতেন। ছেলেকে বলেই আজ দুপুর একটা নাগাদ নবদ্বীপে মেয়ের বাড়ি যান প্রিতমের মা-বাবা। সন্ধ্যে ছটা নাগাদ ফিরে এসে দেখেন, বাড়ির সামনে রাখা একটি মই নেই! নিচের মূল দরজা খোলা। উপরের ঘরে ছাদে ফ্যানের হুকের সাথে এক টুকরো শুদ্ধ বস্ত্র গলায় প্যাচ দিয়ে ঝুলে রয়েছে প্রিতমের দেহ। এলাকাবাসী শান্তিপুর থানায় জানালে ঘটনাস্থলে প্রশাসন এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।
এলাকাবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী ভালো ছেলে হিসেবে যথেষ্ট সুনাম আছে প্রিতমের। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল! তা সত্যি আশ্চর্যের ব্যাপার। পরিবারের পক্ষ থেকে মা-বাবাও জানান লকডাউনে মহাজন’ বোনা কাপড় নিচ্ছে না, তাই নিয়ে আক্ষেপ করতো ঠিকই তবে, তাই জন্য এত বড় সিদ্ধান্ত নেবে তা বুঝিনি কখনো।