অবতক খবর,২৮ ডিসেম্বর: ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৩ জন। ২১টি রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। দেশে ওমিক্রন (omicron) আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পেরিয়ে গেল। একদিনে ১৩৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হলেন করোনার (coronavirus) নতুন ভ্যারিয়েন্টে। সোমবার করোনার নতুন স্ট্রেনে ছড়িয়েছে মণিপুর ( Manipur) ও গোয়ায় (Goa )। পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন।
নদীয়ার কৃষ্ণনগরে ওমিক্রমে আক্রান্ত হলেন নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর পৌরসভার অন্তর্গত 5 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা জুনিয়র ডাক্তার অনির্বাণ হালদার। বর্তমানে কলকাতা মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। সূত্রের খবর,গত 19 তারিখ রবিবার কলকাতার মেডিকেল কলেজের রেপিট টেস্ট করা হয় সেখানে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আবার পরেরদিনই আর্টিপিশিআর করা হয়। একদিন পর রিপোর্ট আসলে পজেটিভ ধরা পড়ে। সেখান থেকে ওই জুনিয়র ডাক্তারকে কৃষ্ণনগর পৌরসভা 5 নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে হোম আইসোলেশন এর জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পরিবার সূত্রে খবর গত 10 দিন পর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার মধ্যেই গত শুক্রবার নদীয়া জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ফোন আসে, এবং জানানো হয় তিনি ওমিক্রমে আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরই নদীয়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে তাকে বেলেঘাটা আইডি হসপিটালে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি ওই ব্যক্তির পরিবারের প্রত্যেকটি টেস্ট করানো হয় সেখানে তার মায়ের নদীয়া জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে পরীক্ষা করা হয় সেখানে করণা পজিটিভ হওয়ার কারণে তার মাকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী কোভিঢ হসপিটালে। তবে তার বাবা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে নদীয়া জেলায় প্রথম ওমিক্রমে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা কৃষ্ণনগর শহর সহ গোটা নদীয়া জেলায়।