অবতক খবর,১ এপ্রিল: স্কুলের মিড ডে মিল সংক্রান্ত সমস্যার জেরে স্কুল কমিটির সভাপতির সঙ্গে বচসা শুরু হয় এলাকাবাসীর. জনসম্মুখে পঞ্চায়েত সদস্য তথা স্কুল কমিটির সভাপতির গালে সপাটে চড় কষালেন এক ব্যক্তি. ঘটনার জেরে উত্তপ্ত এলাকা. পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী. ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার নামখানা থানা এলাকার হরিপুর উত্তর নেতাজি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সম্মুখে. স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই স্কুলে মিড-ডে-মিল পরিচালন কমিটি দীর্ঘদিন ধরে মিড ডে মিলে কারচুপি করে চলেছে.
অনেক সময় মিড ডে মিলে পোকা চাল ডাল দেওয়ার পাশাপাশি মিড-ডে-মিল সামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে. পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবক দের নিয়ে একটা আলোচনার মাধ্যমে ওই পরিচালন কমিটি কে স্কুলের মিড ডে মিলের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়. তারপর থেকেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং স্কুল কমিটির সভাপতি নিজেদের দায়িত্বে স্কুলের মিড ডে মিল চালিয়ে আসছেন. হঠাৎ করে এদিন ওই স্কুল পড়ুয়াদের কিছু অভিভাবকদের কাছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে খবর যায় তারা যেন স্কুলে এসে একটি স্বাক্ষর করে যান.
কিন্তু অভিভাবকরা জানতে চান তারা কেন এই স্বাক্ষর করবে? হঠাৎ করে অভিভাবকদের ডেকে স্বাক্ষর করানোর ঘটনাকে ঘিরে অভিভাবকদের সঙ্গে তুমুল বচসা শুরু হয় স্কুলের শিক্ষকদের. ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ওই স্কুলেরই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লক্ষপতি মন্ডল. পরে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গে ফের বচসা শুরু হয় বেশ কিছু এলাকা বাসির. আর ওই বচসা চলা কালিন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তথা হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এর সদস্য লক্ষপতি মন্ডলের গালে সপাটে চড় মারলেন এক ব্যক্তি.
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে পঞ্চায়েত সদস্য গালে চড় মারা ব্যক্তির নাম মানস মন্ডল. এরপর এই এলাকায় তৈরি হয় ধুন্দুমার পরিস্থিতি. খবর দেওয়া হয় নামখানা থানায়. ঘটনাস্থলে নামখানা থানার পুলিশ পৌঁছয়. অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়. তবে ওই এলাকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু সময়ের জন্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় পুলিশ ফোর্স.