নারীর চেতনা জাগরণে, শিক্ষা প্রসারে, তাদের পুরুষের সমকক্ষ হতে, সামাজিক দায়ে উদ্বূদ্ধ করতে সক্রিয় ময়দানে নেমেছিল কোন নারী?
নারী জাগলে ভোর হয়
তমাল সাহা
আসলে ভালোবাসার তেমন নারী হতে পারলে
এই দুনিয়ার সমস্ত কিছু
তার দিকে ঝুঁকে পড়ে
আকাশ অনেক কাছে চলে আসে
বাতাসে তার সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা মানুষ
কাকে বলে?
জানতে চাইলে কোনো কোনো নারীর পদপ্রান্তে এসে বসতে হয়
শুনতে হয় তার কথা—
অবরোধবাসিনী-র দরজা খুলে দেয় সে
তাকে বের করে আনে অন্ধকার থেকে আলোর উদ্ধারে
সুলতানার স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষার জগত
জাগরুক করে তাদের অন্তরে।
ঋদ্ধ অক্ষর সাজিয়ে
সে তরোবারির মতো ঝলসে ওঠে
চাষার দুঃখ-এ কৃষাণী হবার দৃঢ়তা তো দেখায়ই
প্রশাসনিক দপ্তরে নারীদের সচল পদধ্বনি শুনতে চায়।
ঘাতক ধর্মের বধ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে তুমি কেন ধর্মদ্রোহীর পতাকা ওড়াও
এন্ডি শিল্প ফিরে পেতে চাও—
আবার সেই মরাই ভরা ধান, ঢাকাই মসলিন
আহা, সেইসব অন্তর্হিত দিন!
গাঁয়ে গাঁয়ে পাঠশালার চৌকাঠে পা রাখার স্পর্ধিত উচ্চারণ
আধুনিক কত তুমি, কত বাস্তব তখন ।
নারীবাদী! সে তো সংকীর্ণ শব্দের ভার!
তুমি বলো, নর-নারী যৌথ দায়ে গড়ে তুলবে পৃথিবীর খামার।
দুই জোড়া পা বেঁধে দিলে চাই সমতাল।
নাহলে একজন আছড়ে পড়ে মাটিতে।
যে পড়ে থাকে তাকে ধরে তুলতে হবে
চার হাতে।
অথবা তুমি থাকবে পড়ে পশ্চাতে।
সবিতা কি নারী!
নারী জাগলে ভোর হয় প্রভাতে।
কে না জানে
গাছগাছালি ফুলময় হয়ে ওঠে গোপনে অন্ধকার রাতে!
আমি কি আগে জানতাম
রোকেয়ার আসল কি মানে!
তোমরা হয়তো জানো।
সিজাদ– মানুষের জন্য প্রার্থনা
মানুষকে ভালোবাসা দেখানো।