অবতক খবর,১৯ সেপ্টেম্বরঃ মহা গণেশ চতুর্থী আজ। দুর্গেশ নন্দিনীর আগমন আসন্ন। ‌ শরৎকালীন এই সময়ে ভারতের নতুন সংসদ ভবনে পেশ হলো মহিলা সংরক্ষণ বিল। প্রধানমন্ত্রীজি জানিয়েছেন, নারী শক্তি বন্দন বিল পেশ করার জন্যই ঈশ্বর তাকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর আমলে ২০১০ সালে এই বিল একবার পেশ হয়েছিল এবং যারা ‘ইন্ডিয়া’ চায় সেই জোটেরই কোন কোন দল এর বিরোধিতা করেছিলেন। সে যাই হোক,এই বিল নিয়ে এখনো দীর্ঘ আলোচনা হবে। বড় বড় বক্তব্য বড় বড় উত্তর সম্পাদকীয় লিখবেন রাজনৈতিক ভাষ্যকারেরা, রাজনৈতিক নেতারা সমাজতত্ত্ববিদরা,সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।

জানা যাচ্ছে এই বিলে ৩৩ শতাংশ নারী সংরক্ষণের কথা বলা আছে। তপশীলি সম্প্রদায়কে এই ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের মধ্যেই ধরা হয়েছে। আরো জানা গিয়েছে যে,এই বিল ৬ বছর আগে লাগু করা যাবে না। তার আগে বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যে বিল ৬ বছর আগে চালু করা যাবে না তা এখন পেশ করা হল কেন? এই নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলেরা বলছেন,২৪ এর ভোটে এই মহিলা সংরক্ষণ বিল পণ্যের কাজ করবে। মহিলাদের ভোট গ্রহণে শাসক দল বিজেপি লাভবান হওয়ার ইচ্ছায় এই নারী বিলকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করবে। এই নিয়ে অনেক বিতর্ক, অনেক বড় বড় কথা হবে। সাধারণ মানুষ এই বিলে কি কি হবে তা পড়বেও না জানতেও চাইবে না। বড় বড় পণ্ডিতেরা আমাদের মত তথাকথিত শিক্ষিতরা এই বিল নিয়ে আলোচনা করবেন। মহিলাদের কর্ম ক্ষমতা বাড়ুক, তাদের স্বাধীনতা বাড়ুক সামাজিক ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এটাই সাধারণ মানুষ বোঝে। সাধারণ মানুষ বোঝে শিক্ষিত ও নিরক্ষর মহিলারা নিজের আর্থিক সংস্থানে বেঁচে থাকুক, নিজের শ্রমে নিজের পেটের ও সংসারের অন্ন সংস্থান করুক এটাই তারা চায়। এখন প্রশ্ন, মহিলা সংরক্ষণ বিল যদি চালু হয় তাহলে নারীর মর্যাদা কি আর লঙ্ঘিত হবে না? দলিত সংখ্যালঘু বা সাধারণ নারীরা কি আর ধর্ষিত হবে না? ধর্ষণ করে তাদের পুড়িয়ে মারা হবে না? মহিলা সংরক্ষণ বিল কি এটা প্রতিরোধ করতে পারবে? নারী যদি মর্যাদাই না পায় নারী যদি প্রতি মুহূর্তে বাধার সম্মুখীন হয়, তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়, তাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়া হয়,তবে এই বিল লইয়া আমরা কি করিব? এর উত্তর দেবেন কি রাষ্ট্রনেতারা?