অবতক খবর,মালদা,৩০ নভেম্বর: নিজেদের জায়গা দখলের প্রতিবাদ করায় আশা কর্মী মহিলা সহ তার দুই কলেজ ছাত্রী মেয়েকে মারধর করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া থানার পশ্চিম রুকুন্দিপুর এলাকায় । প্রতিবেশী দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম মা এবং কলেজছাত্রী দুই মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । এই ঘটনায় হামলাকারী মীর আইয়ুব আলী, মীর একলাখ এবং মীর আজম সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অসহায় আশা কর্মী মহিলা শাহানাজ পারভীন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুইজনকে আটক করেছে রতুয়া থানার পুলিশ । পাশাপাশি পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের নাম শাহানাজ পারভীন (৫৫), তার দুই মেয়ে ডেজি পারভীন (২২) এবং নাসরিন পারভীন (১৮)। ডেজি পারভীন এবং নাসরিন দুই বোন। প্রথমজন চাচোল কলেজে এমএ পাঠরত। এবং ছোট বোন সামসি কলেজে প্রথম বর্ষের কলা বিভাগের ছাত্রী। তাদের ওপর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
আক্রান্ত নাসরিন পারভীন পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে তার স্বামী মারা গিয়েছেন । তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি রয়েছে। সেটি তার দেওর মীর আইয়ুব আলী এবং তার দলবল দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে । বাড়ির সামনে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের এই জায়গা দখলের প্রতিবাদ তারা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছিলেন। কিন্তু পরিবারে কোনো পুরুষ না থাকায় , তাদের দুই মেয়ের উপর নানা ভাবে অত্যাচার চালিয়ে আসছিল অভিযুক্তেরা । সোমবার রাতে আচমকাই অভিযুক্ত ও তার দুই ছেলে দলবল নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। জায়গা দখলের কথা বলে তাদেরকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার পর মহিলাদের আর্ত চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। তখনই অভিযুক্তরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায় । গুরুতর জখম অবস্থায় মা এবং দুই মেয়ে চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। পাশাপাশি এই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জন সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রতুয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক বিবাদকে ঘিরে এক মহিলা ও তার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।