অবতক খবর: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের হারানো ওই দুটি ফাইল খুঁজে পেতে এবার নবান্ন ও মহাকরণের চিঠি পাঠাল বিকাশ ভবন। সোমবার এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে নবান্নের অর্থ (অডিট) দফতরে এবং অন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে মহাকরণের আইন দফতরে।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, দুটি ফাইল খুঁজে বের করার জন্য ইতিমধ্যেই বিধাননগর কমিশনারেটে ডায়েরি করা হয়েছে। কিন্তু, তাতে সুরাহা হয়নি। এই ফাইল দুটিতে ২০১২ থেকে ২০১৬ এবং ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিপিবদ্ধ রয়েছে বলে বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা ওই দুটি ফাইল খুঁজতে খুঁজতে কার্যত হয়রান হয়ে গিয়েছেন। তাই শিক্ষা দফতরের আর্জি ওই দুটি ফাইলের প্রতিলিপি, খণ্ডাংশ বা ফটোকপি যদি থাকে সেইসব দু’সপ্তাহের মধ্যে পাঠাতে বলানো হয়েছে।
সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা গত ১৫ জুন শিক্ষা সচিব মণীষ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপরে নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু ফাইলের কথা জানতে পারেন। সেই সমস্ত নথি এসএসসির কাছে চেয়ে পাঠায় সিবিআই। গত ১৭ জুন এসএসসির কাছে চিঠি পাঠায় সিবিআই। তবে ২৩ জুন বিকাশ ভবন থেকে জানানো হয় ওই ফাইল দুটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিধানগর উত্তর থানাতেও এ নিয়ে ডায়েরি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কল্যাণময়ের কাজের পরিধি, দায়িত্ব বন্টন অথবা কাদের সুপারিশে তিনি ওই পদ পেলেন সেই সংক্রান্ত ফাইলটি হল ইএস/এস/১০এম-১১৯/২০১২। জানা গিয়েছে, এই ফাইলটি ২০১২ সালে তৈরি হয়েছিল। অন্যদিকে, প্রশাসনিক খুঁটিনাটি সম্বলিত অন্য ফাইলটি ইএস/এস/১০এম-১১৯/২০১২-পার্ট ওয়ান তৈরি হয় ২০১৫ সালে।
উল্লেখ্য, শিক্ষক সহ শিক্ষা কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত ২০২২ সাল থেকে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর ২০২২ সালে সেই নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল দুটি উধাও হয়ে যায় বলে জানতে পারে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ফলে সেই ফাইল দুটি এখন সিবিআইকে দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের এই জবাবে কার্যত বিস্মিত সিবিআই। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, গত এক বছর ধরে গ্রুপ সি’র নিয়োগ সংক্রান্ত ওই ফাইলটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এনিয়ে কমিশনের তরফে বিধাননগর উত্তর থানায় একটি জেনারেল ডায়েরিও করা হয়েছে। কমিশনের দাবি, এই জিডি করা হয়েছে অনেক আগেই।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছ থেকে নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল সিবিআই। তবে সেই নথি সিবিআইকে দিতে পারেনি এসএসসি। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।