অবতক খবর: বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও ভর্ৎসনার মুখে পরতে হল সিবিআই ও ইডিকে। নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড কে তা জানতে এই তদন্ত । তবে এখনও দুই তদন্ত সংস্থা মূলচক্রীর কুল কিনারা পায়নি।
এই মামলাতে বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দুই সংস্থার আইওদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা যখন এই দুর্নীতির তদন্তে একটা গ্রহণযোগ্য জায়গায় পৌঁছবেন, তখন এই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আদৌ থাকবে তো?’’ রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে শুক্রবার আদালতে বিচারপতি সিনহার আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘আকাঙ্ক্ষিত গতিতে আপনাদের তদন্ত চলছে না।’’
আদালতে ইডি’র আইনজীবী দাবি করেন, ‘‘প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারির শিকড় খুঁজতে গিয়ে ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত ১৩ জুলাই কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীল ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ১৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত নথি এবং ৪৩টি স্থাবর সম্পত্তি প্রসিড অব ক্রাইম হিসাবে অ্যাটাচ করা হয়েছে।’’
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ইডির দেওয়া রিপোর্টে এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআই রিপোর্টে জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠিতে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে আদালতে। তাদের দাবি, কুন্তল ঘোষের ওপর কোনও শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। কুন্তল ঘোষের অভিযোগ মিথ্যে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার গত শুনানিতে দুই সংস্থা ইডি ও সিবিআইকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে দুই সংস্থার রিপোর্ট জমা পড়ে।