অবতক খবর: দলের নির্দেশ অমান্য করে নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোয় বড়সড় পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্ব মেদিনীপুর, কোচবিহার, ঝাড়্গ্রাম, হুগলি, হাওড়া-সহ পঞ্চায়েত প্রধান-সহ একাধিক জনকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। বিক্ষুব্ধদের বার্তা দিতেই এই পদক্ষেপ, জানিয়েছে শাসকদল। যদিও সবটাই লোক দেখানো বলে এই সিদ্ধান্তের কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
বিক্ষুব্ধ ও নির্দল প্রার্থীদের বহিষ্কার করে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তবে এতে কী আদৌ শাসকদলের কোন্দলে রাশ টানা যাবে? প্রশ্ন বিরোধীদের। গতকাল আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার সভা থেকে ফের নির্দল প্রশ্নে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, একটা নির্দলকেও দলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রসঙ্গত, জেলায় জেলায় একাধিক নেতাকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। বহু জায়গায় ইতিমধ্যেই করা হয়ে গিয়েছে।
নবজোয়ার কর্মসূচী চলাকালীন এই নির্দল প্রশ্নে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন অভিষেক। সূত্রের খবর, একাধিক জেলায়, আগামী ৮ জুলাইয়ের আগে লিফলেট বিলি করে ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভোটারদের জানালে নির্দলদের ফের দলে নেওয়া হবে।
দলে ঠাঁই নেই নির্দলদের। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব বার্তা দিয়েছিল আগেই। বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়সীমা। দলীয় অনুশাসন মেনে এবার ফের নির্দলদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা। রাজ্যের আট জেলায় বহিষ্কার করা হচ্ছে, ১০৬ জনকে। এর মধ্যে, বাঁকুড়া জেলায় ২৩ জন, জলপাইগুড়ি জেলায় ১২ জন, ঝাড়গ্রাম জেলায় ৪৩ জন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৮ জন, হাওড়া জেলায় ১১ জন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ৫ জন, হুগলি জেলায় ৪ জন, কোচবিহার জেলায় ৩৭ জনকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
পঞ্চায়েত ভোটে ‘গোঁজ’ প্রার্থী নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বারবার সতর্ক করার পরও বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে তৃণমূল। কিছু জায়গায় তাঁদের নিরস্ত করা গেলেও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করাও শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের রাজ্যের একাধিক জেলার ৫৬ জনকে সাসপেন্ড করা হয়। বীরভূম, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে এ দিন আরও ১৮৯ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।