অবতক খবর,৩ ফেব্রুয়ারি: ১ ফেব্রুয়ারি বীজপুর বিধায়ক এবং বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায় বীজপুর অঞ্চলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কিভাবে অবনতির দিকে চলে গেছে তা প্রমাণ করার জন্য নিহত বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়ালের মা এবং সম্প্রতি আক্রান্ত বিজেপি কর্মী নির্মল চন্দ্র দে(রাজু)কে নিয়ে রাজ্যপালের কাছে উপস্থিত হলেন। ‌উল্লেখ্য নির্মল চন্দ্র দে(রাজু) বিজেপির নির্বাচকমণ্ডলীর আহ্বায়ক।

তিনি বর্তমানে বীজপুরের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সমস্ত বিষয়টি দৃষ্টিগোচর করার জন্য রাজ্যপালের কাছে গিয়েছেন বলে খবর। এদিকে তাঁর এই রাজনৈতিক সুবিধাবাদের চেহারা দেখে বীজপুরের তৃণমূল নেতারা বলতে শুরু করেছেন যে, রাজ্যপালের অফিস এখন বিজেপি পার্টির সদর দপ্তরে পরিণত হয়েছে। যিনি রাজ্যপাল,রাজ্যের পালক তিনি নিরপেক্ষ। যেকোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ তার কাছে গিয়ে উপস্থিত হতে পারেন না। কারণ রাজ্যপালের একটি বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। ‌তারজন্য আগেভাগে অনুমতি নেওয়া, অন্যরকম অফিশিয়াল ডেকোরাম রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে রাজ্যপালের অফিস যেন একটা মুক্তাঙ্গন। যে ইচ্ছা সেই যখন তখন চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে এই বিজেপি কর্মীরা। রাজ্যপাল আসলে যে রাজ্যপাল নন, নিরপেক্ষ নন, তিনি যে বিজেপিরই মুখপাত্র এবং একটা দলের চালিকাশক্তি তারই প্রমাণ দিচ্ছেন এই মুহূর্তে। এতে ভারতীয় গণতন্ত্র কোন অবস্থায় গিয়েছে তা এই বিজেপি দলটি বুঝিয়ে দিচ্ছে এবং তারি সক্রিয় ভূমিকায় নেমেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।