বিনয় ভরদ্বাজ , অবতক খবর :: নৈহাটিতে বিজেপি পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ তৃণমূলের এই জোর-জুলুমকে ভালো চোখে দেখছেন না। যদিও কিছু তৃণমূলের অন্ধ ভক্তরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি পার্টি অফিস ভেঙে দেওয়াকে ভালো বলেই আখ্যা দিচ্ছেন। ‘তারা বেশ হয়েছে বলে লিখছেন। তবে এতে তৃণমূল পার্টির ভাবমূর্তি ভাল হচ্ছেনা বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণীর সাধারণ মানুষ।
নৈহাটির এক প্রবীণ নাগরিক জানান, এইতো ৮ মাস হল তৃণমূলী গুন্ডাদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানুষ ভোট দিয়েছিল কিন্তু যাদের মানুষ এনেছিল তারাও কম ছিল না। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে তৃণমূল নেতারা ঘরে ঘরে গিয়ে ক্ষমা চাইতে পৌঁছে যান। তাদের ভুল শুধরে নেওয়ার কথা বলেন কিন্তু যেই তৃণমূল পুনরুদ্ধার করে পুরনো জায়গায় ফিরল সেই তৃণমূল নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের ঔদ্ধত্য আবার আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।
নৈহাটি তৃণমূল নেতারা মনে করছেন, যে সমস্ত কাউন্সিল উদ্ধার হয়ে গেছে তাই মানুষের মনও উদ্ধার হয়ে গেছে তাই এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে তারা দখল হয়ে যাওয়া ক্লাব পার্টি অফিসের পাশাপাশি এবার বিজেপির পার্টি অফিস দখল নেওয়া শুরু করে দিয়েছে।
এক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, তৃণমূল ভাবছে যে বিরোধী মুক্ত করে রাখলেই হয়তো তারা আবার ক্ষমতায় ফিরবে কিন্তু যদি এই কথাই ঠিক হতো তাহলে বাম জমানায় তারা তৃণমূলের ক্লাব পার্টি অফিস করতে দেয়নি তাহলেও কিন্তু বামপন্থীদের ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন মঞ্চ থেকে সকলকে নিয়ে চলার কথা বারেবারে বলছেন, একই কথা বলে বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ঘরে বসে পড়া পুরোনো তৃণমূল কর্মীদের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তৃণমূলকে আবার সংগঠিত করার আহ্বান জানান। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্যাপক তৃণমূল কর্মীরা বেরিয়ে আসেন ও দলকে আবার তুলে ধরেন। কিন্তু দল যেই সংগঠিত হয়ে ক্ষমতায় পুনরায় ফিরেছে তখনই তাদেরকে আবার গুরুত্বহীন করে দল থেকে আলাদা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
এক প্রবীণ প্রবীণ তৃণমূল কর্মী জানান, দলকে সংগঠিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও পার্থ ভৌমিকের আবেদনে আমরা বেরিয়ে এসেছিলাম কিন্তু যেই কাজ মিটেছে আমাদের আবার ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে।
নৈহাটীর এক দাপুটে প্রবীণ তৃণমূল নেতা নাম না ছাপার শর্তে জানান তাকে আহবান করে দলকে সংগঠিত করার জন্য ব্যবহার করা হল। এখন তিনজন নেতা মিলে যা খুশি তাই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আবার তাদের গুরুত্বহীন করে দেওয়া হয়েছে। দল আবার পুরনো জায়গায় ফিরে গেছে উদ্ধত ও নিয়ন্ত্রণহীন। তিনি জানান, বিজেপির ক্লাব পার্টি অফিস দখল করা তৃণমূলের কোন দিন সিদ্ধান্ত ছিল না এখনও নেই কিন্তু কে শুনবে কার কথা!
পিকে-র নামে লোকেদের ঠকানো হচ্ছে। দিদি কে বোলো কর্মসূচি করে দলের লাভ হয়েছে ঠিকই তবে , কোনো অভিযোগ করে কোনো সদুত্তর মিলছে না। বরং এমনও দেখা যাচ্ছে যে পিকে-র দপ্তর থেকে তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে এই ব্যক্তি অমুক সময়ে তোমার নামে কমপ্লেইন করেছে। এতে পাল্টা ধমক খেতে হচ্ছে অভিযোগকারী কে।এমন অবস্থায় নিজের সম্মান বাঁচাতে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে চুপ করে বসে যাওয়াই বেশি ভালো মনে করছেন তৃণমূলী নেতা কর্মীরা