অবতক খবর,৩ জুলাইঃ বালি বালি আর বালি। বালি তুমি কার? গত পরশুদিন থেকে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জনগণের মধ্যে। কারণ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন,আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে গোটা অঞ্চলময় শুধুই সাদা বালি। এই সাদা বালি রাতের অন্ধকারে রাস্তার ধারে বালি মাফিয়ারা যেমন খুশি ফেলে রেখে দিয়ে চলে যাচ্ছে। আর ভোরবেলা এই বালি বিভিন্ন জায়গায় পাচার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন এই সাদা বালি আসছে কোথা থেকে? যেখানে সাদা বালি তোলা নিষিদ্ধ সেখানে রাস্তায় রাস্তায় এত সাদা বালি আসছে কোথা থেকে? আজ সকাল সকাল খবর আসে কাঁপা চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অদূরে ১২ এবং ১৩ নং বুথ সংলগ্ন যে সবুজ সংঘ ক্লাব রয়েছে, সেখানে প্রচুর পরিমাণে সাদা বালি কেউ বা কারা ফেলে রেখেছে। তবে কে বা কারা সেখানে এই সাদা বালি ফেলেছে তা এখনো জানা যায়নি। শুধু এই গ্রাম পঞ্চায়েতই নয়, বীজপুর বিধানসভার বিভিন্ন স্থানেও আপনার চোখে পড়বে এই সাদা বালি। কিন্তু এই বালি আসলে কার তা কেউই সঠিক বলতে পারছে না। যদি ঘরবাড়ি তৈরি অথবা প্রমোটিং অথবা অন্যান্য ব্যক্তিগত কোনো কাজে এই বালি ব্যবহৃত হয় তবে তো ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গায় পড়ে থাকবে এই সাদা বালি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যত্রতত্র রাস্তার ধারে এই সাদা বালি পড়ে রয়েছে। এমনকি ফাঁকা জমি, ঝোপঝাড়ের সামনে এই সাদা বালি পড়ে রয়েছে। বর্তমানে এই বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, তারা প্রশাসনকে পাত্তাই দিচ্ছে না।
এই বিষয়টি নিয়ে ডি আর এ কার্যকর্তা প্রসেনজিৎ বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ডিআরএ কোম্পানির গাড়িগুলিতেই বালি বেরোচ্ছে। যদি এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটে থাকে তবে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
অন্যদিকে শিবদাসপুর অঞ্চলেও প্রচুর পরিমাণে সাদা বালি রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে। অথচ খোঁজ নেই মালিকের।
অন্যদিকে স্থানীয়দের সূত্রে জানা যাচ্ছে, নদীয়া গোকুলপুর সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা এক ব্যক্তি এই সকল বালি রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রেখে সেখান থেকে পাচার করছে।