মধ্যরাতে স্বাধীনতাঃ অবতকের বিশেষ প্রতিবেদন
পতাকা যত উঁচুতে ওড়ে ধর্ষকের সংখ্যাও তত বাড়ে
তমাল সাহা
তুমি দাঙ্গা ভালোবাসো, ভালোবাসো রক্তস্নান,
এসব কথা বাবা বলেছিল, হে আমার স্বাধীনতা!
তুমি মন্দির মসজিদ ভাঙতে ভালোবাসো
কোথাও ঘৃণা করো কীর্তন কোথাও ঘৃণা করো আজান,
এসব কথা বাবা বলেছিল, হে আমার স্বাধীনতা!
স্বাধীনতার আগেও দাঙ্গা পরেও দাঙ্গা
আগুনের লেলিহান শিখা থাকবেই
এ কথা বাবা বলেছিল ,হে আমার স্বাধীনতা!
ধর্ষণ শব্দটি শুনতে খারাপ, শারীরিক নিগ্রহ শব্দটি ব্যবহার করাই ভালো। তবে বলাৎকার থাকবেই স্বাধীনতার আগে ও পরে। কারণ জন্মভূমি নিজেই ধর্ষিতা হয়েছিল স্বাধীনতার রাতে।
এ কথা বাবা বলেছিল,হে আমার স্বাধীনতা!
ধর্ষক থেকে তুমি কতদূর যাবে,
ধর্ষক ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন রূপে।
রাষ্ট্রই যদি ধর্ষক হয়, তুমি কি করতে পারো
হে আমার স্বাধীনতা!
নামে কি আসে যায় বিলকিস বা বনলতা!
এগারো জন নারীর শ্লীলতা লুটেপুটে খায়।
পরিবারের চৌদ্দজন খুন হয়ে যায় এপারে বা ওপারে।
ধর্ষকরা ছাড়া পেলেও নাকি নারীর মর্যাদা থাকে,
কারণ ধর্ষিতাকে ধর্ষণ করা যায় পুনরায়,
ধর্ষণ এত প্রকট পরিচিত প্রতিবেশীও ধর্ষণে মত্ত হয়ে পড়ে।
এ কথা বাবা বলেছিল,হে আমার স্বাধীনতা!
ধর্ষকেরও তো স্বাধীনতা আছে
অমৃত উৎসবে তার আনন্দকে কেড়ে নেওয়া যায়?
তুমিই বলো হায় স্বাধীনতা তিরংগা তো ধর্ষকেরও তবে তার হাতে শোভা পেলে মহাভারত কি অশুদ্ধ হয়ে যায়! রাষ্ট্র আমাদের কত কি শেখায়!
দক্ষিণে মহাসমুদ্র, উত্তরে উত্তুঙ্গ হিমালয় পর্বত
তোমার বুকের উপত্যকায়
স্বাধীনতার অমৃত উৎসব মহা উল্লাসে গান গায়…