অবতক খবর,১৭ মার্চ, গোঘাট,হুগলি: পরিকাঠামোহীন বিদ্যালয়ে সাপের ভয়ে সিঁটিয়ে ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকরা। ভেঙে পড়ছে কংক্রিট থেকে প্লাস্টারের টুকরো।এদিক ওদিক পড়ে আছে সাপের খোঁলস। পরিকাঠামো না থাকায় কমছে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা। বাধ্য হয়েই বিদ্যালয়ের অফিস রুমে প্রি- প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি ক্লাস হয় একসঙ্গে। ছাত্র-ছাত্রী বেশি হলে স্কুলের বারান্দায় ক্লাস নিতে হয়। এমনই ছবি উঠে এলো আমাদের ক্যামেরায়।
গোঘাটের নকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়ানচক গ্রাম।পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলির সীমান্তবর্তী এই গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয় ১৯৬২ সালে। এই প্রত্যন্ত এলাকার গরিব দিনমজুর কৃষিজীবী এলাকার ছেলেমেয়েরা মূলত এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমতে কমতে এখন ২৩ জন। তিনজন শিক্ষক-শিক্ষিকা অফিস রুমেই ক্লাস নেন একসাথেই। স্কুলের শুরু থেকে ছুটি পর্যন্ত একটি রুমেই ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকরা একসাথেই থাকে। বিদ্যালয়ের পুরাতন বিল্ডিং জরাজীর্ণ। সাপ খোপের আড্ডা পুরাতন বিল্ডিং এর ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে পড়ছে ।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মুখ না খুললেও পরবর্তীতে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন দীর্ঘদিন ধরি এভাবেই চলছে পঠন-পাঠন। প্রশাসনকে বলা হয়েছে দ্রুত সমস্যা মেটে না হবে বলে জানিয়েছেন।
প্রশ্ন উঠেছে এই ভাবেই কি আতঙ্কের মধ্য প্রান্তিক এলাকার স্কুলে চলবে পড়াশোনা ? কেন এই প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলটির দিকে নজর পড়ছে না সরকারের?