অবতক খবর, কলকাতা: রাজ্য জুড়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর এবং পুলিশের হয়রানির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু ব্যানার্জী । রাজু ব্যানার্জী সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে পুলিশ অতি সক্রিয়। বিজেপি দলের কর্মীদের ওপরে মিথ্যে মামলা করা হচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের ধরপাকড় চলছে। পুলিশ আর তৃণমূলের অত্যাচারে আমাদের দলের ১০০ জন ঘরছাড়া হয়ে রয়েছে। এর পিছনে মদত জোগাচ্ছে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘১২৫ এবং ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। ১৫-১৬ টি বাড়িতে ভাঙচুর চলেছে।’ এরপরেই রাজু ব্যানার্জী দাবি তুলেছেন, ‘মমতা ব্যানার্জী ক্ষতিপূরণ আইন চালু করেছেন। আমরা দাবি তুলছি রাজ্য জুড়ে যেসকল বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর লুঠ হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে তার জন্য মমতা ব্যানার্জী ক্ষতিপূরণ দিক ‘ এরপরেই রাজু ব্যানার্জী বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। এখানে সুপার এমারর্জেন্সি কায়েম করেছেন মমতা ব্যানার্জী।’
প্রসঙ্গত গত ২৩ জানুয়ারি বেহালা শীলপাড়ায় সিএএ সমর্থনে প্রচারে নেমেছিল রাজ্য বিজেপি। অভিযোগ উঠেছে বিজেপির মিছিলে বাধা দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের তরফ থেকে। যেসমস্ত বাড়িতে সিএএ আইন নিয়ে প্রচারে যাওয়া হয়েছিল সেই সব বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে, মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।
সিএএ আইন নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। রাজ্যের গেরুয়া শিবির সিএএ সমর্থনে প্রচার অভিযানে নেমেছে। আর অন্যদিকে বিজেপি বিরোধী রাজ্যে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে ‘সিএএ আইনকে’ বিভাজনের রাজনীতি বলে প্রচার করে চলেছে। ‘NO CAA’, ‘NO NRC’ স্লোগান শুধু বঙ্গ রাজনীতিতেই নয় সারা দেশের রাজনীতিকে নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে ছাত্র সমাজ আন্দোলিত হয়ে চলেছে। গুলিবিদ্ধ হতে হয়েছে জামিয়া মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে।