অবতাক খবর, সংবাদদাতা :: সকালে খবর পেয়ে অবাক হয়ে যায় ধনেখালি থানার ভান্ডারহাটি (১) গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশবপুর সদগোপ পাড়ার বাসিন্দারা। দাদু ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল আর নাতনি বাংলাদেশে ধরা পড়ে জঙ্গী হিসেবে। নাম ছিল প্রঞ্জা দেবনাথ(নটু)।
ছোটবেলায় স্কুল লাইফ শুরু হয় কেশবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পরবর্তী সময়ে ধনেখালি কলেজের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। পড়াশুনাতে ভালই ছিলেন পাড়ার শান্তশিষ্ট মেয়ে হিসেবেই পরিচিত ছিল সবার কাছে কারো সঙ্গে সেই ভাবে কথাবার্তা বলতেন না। তবে এলাকাবাসীর দাবি সে মাঝে মাঝে তার ফোন থেকে হিন্দিতে কথা বলতেন অনেক সময় ধরে। আমরা গ্রামের লোক হিন্দি না বোঝার কারণে সেই ভাবে আমল দিতাম না ব্যাপারটা কে তবে এই ভাবেই যে পাড়ার একটি মেয়ে জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে তা আমরা কোনদিনই কল্পনা করতে পারিনি।
আজ সকালে খবর পাওয়ার পর হতবাক হয়ে যায় আমরা।২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতা যাওয়ার নাম কোরে বাড়ি ছাড়ে। পরবর্তী সময় বাড়ি থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয় অভিযোগ করা হয় থানায় একটি মিসিং ডায়েরি হিসেবে কিন্তু পরবর্তী সময় যখন মেয়ে আমাদেরকে ফোন করে জানায় যে আমি বাংলাদেশের চলে গেছি এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি তারপর থেকে আমরা থানার ডাইরিটি তুলেনিই।
ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে ফোন করে মা গীতা দেবি কে জানায় সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে ও বিবাহ করেছে। মিনিট পাঁচেক কথা বলার পরে আর কখনো কথা হয়নি মেয়ের সাথে। তবে গিতা দেবি জানান আমি মেয়েকে ফোনে বলি যা ঘটনা ঘটেছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি তুই আমাদের কাছে চলে আসতে পারিস যদি ওই সব ধর্ম ত্যাগ করতে পারিস কিন্তু মেয়ের জিহাদেতে অনর্ থাকে সে তারপর থেকেই আর কোন দিনের জন্য ফোন আসেনি মায়ের কাছে।