পাথর! পাথর! আর পাথর! ভূস্বর্গ কাশ্মীর উপত্যকায় ছড়ানো পাত্থর, রাজধানী দিল্লিতে ছড়ানো পাত্থর রাস্তায়-মহল্লায়। দেশ মেতেছে হত্যায়, অবিরাম রক্তস্রোত গড়ায়….

পাথর
তমাল সাহা

আদিম যুগের মানুষেরা
পাথরের ব্যবহার জানতো।
সেই যুগকে বলে প্রস্তর যুগ।
পাথর ছুঁড়ে তারা শিকার করতো।

পাথরগুলো প্রথমে বড় ও ভোঁতা ছিল।
পরে তারা ঘষে ঘষে শান দিয়ে দিয়ে ধারালো ও ছুঁচলো করলো এবং সুবিধেমতো ব্যবহারযোগ্য করে তুললো।

আধুনিক যুগেও মানুষ পাথর ব্যবহার করে।
এখন তারা প্রমাণ সাইজের টুকরো পাথর ব্যবহার করে বেশি।
সেগুলো বিভিন্ন আকারের— কোনটা তেকোণা,চৌকোণাও হতে পারে।
এই পাথর ব্যবহারের সুবিধে অনেক।
অনেক দূর পর্যন্ত ছোঁড়া যায়।

প্রস্তর যুগের মানুষ অসভ্য ছিল।
তারা পাথর ছুঁড়ে পশু শিকার করতো,
তাদের কাঁচা মাংস খেতো।

আধুনিক যুগে মানুষ সভ্য হয়েছে,
তারা আর পাথর ছুঁড়ে পশু শিকার
করে না– মানুষ শিকার করে।
আর মৃত মানুষের মাংস খায়।

হিমালয় পেরিয়ে আসা
ভারত মহাসাগর পেরিয়ে আসা
পর্যটকরা ভারতবর্ষ থেকে জেনে যায়
পাথর ব্যবহার করা হয় দাঙ্গায়।