অবতক খবর , নরেশ ভকত, বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়ার অন্যতম পাহাড় শুশুনিয়া পাহাড় ও পর্যটন কেন্দ্র শুশুনিয়া। সেই পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত শুশুনিয়া গ্রাম। এই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই চলে পাথর খোদাই এর কাজ। পাথর খোদাই করে ফুটিয়ে তোলে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি ও বিভিন্ন আসবাবপত্র। এই শিল্পীদের হাতের তৈরি করা দেবদেবীর মূর্তি বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দেয়। এমনকি বিদেশে ও পাড়ি দেয়। এখানে সারাবছরই পর্যটকের ঢল নামে কিন্তু এবছর আর পর্যটকের সেই ভাবে দেখ যায়নি। এবছর করোনা গ্রাস করেছে সারাবিশ্বকে, ফলে শিল্পীরা হতাশ।
অন্যান্য বছর দূর্গা পূজার আগে থেকেই তারা ছোট-বড় অনেক দুর্গা প্রতিমার অর্ডার পেয়ে থাকে কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতি কেড়ে নিয়েছে শিল্পীদের প্রতিমা তৈরির অর্ডার। এবছর অর্ডার না থাকায় শিল্পীরা হাতে হাত দিয়ে বসেই দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু ওই গ্রামের পাথর শিল্পী অনাথ বন্ধু কর্মকার মা দুর্গার আশীর্বাদে ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে দিন কাটিয়েছেন। কারণ লকডাউনের অনেক আগেই কলকাতার সোনারপুর থেকে এক ক্লাবের দুর্গা মূর্তি তৈরীর অর্ডার পেয়েছিলিলেন।
পাথর শিল্পী অনাথ বন্ধু কর্মকার বলেন, লকডাউনের আগেই কোলকাতার সোনারপুরের এলাকার একটি ক্লাবের দূর্গা মূর্তি তৈরীর অর্ডার পেয়ে ছিলাম। লকডাউনে ঘর বন্দী অবস্থায় কাজ করতে পেরেছি। লকডাউনে অনান্য শিল্পীদের কাজ ছিলোনা। তারা আমার কাছে কাজ করে গেছে, তাদের আর্থিক সমস্যা অনেকটা মেটাতে পেরেছি। আমার ছেলে ও দুই তিনজন শিল্পীদের নিয়ে তৈরি করেছি পাথরের এক বিরাট দুর্গা প্রতিমা এবং তা পাড়ি দেবে কলকাতার সোনারপুর ক্লাবের দুর্গা মন্ডপে। এই বিরাট দূর্গা প্রতিমার উচ্চতা সাত ফুট এবং লক্ষী, সরস্বতী,গনেশ, কার্তিক এর উচ্চতা সারে চার ফুট। এই দুর্গা প্রতিমূর্তি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় সাত মাস। আর এই দূর্গা মূর্তিটি মূল্য তিন লক্ষ টাকা।
অনাথ বাবুর আশা তাঁর হাতের তৈরি করা দুর্গা মূর্তিটি নজর কাড়বে সোনারপুর ক্লাবের দুর্গা মন্ডপের দর্শকদের।