অবতক খবর,২৩ সেপ্টেম্বরঃ আর হাতেগোনা কয়েকদিন পরেই ইউনেস্কোর স্বীকৃতি প্রাপ্ত বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ আসেন বাংলায় দুর্গোৎসবে শামিল হতে। দু’বছর করোনা কালীন পরিস্থিতি কাটিয়ে এবারের দুর্গোৎসব বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বঙ্গে। আগের তুলনায় এবার আরো বেশি সংখ্যক দেশ-বিদেশের মানুষ বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবে শামিল হবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

কলকাতার বড় বড় পুজোর উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ২২শে সেপ্টেম্বর করে ফেলেছেন। দর্শনার্থীদের জন্য কলকাতার বড় বড় পুজো প্যান্ডেল গুলো এখন উন্মুক্ত। ‌ কিন্তু সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী একটা কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাস্তা যেন কেউ না আটকায়। ‌ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় সেই দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

এই তো গেল কলকাতার বিষয়। এবার কথা বলা যাক বীজপুর নিয়ে। দুর্গোৎসবের সময় বীজপুরে যে ট্রাফিক নিয়ম থাকে তা কি এবার পাল্টাবে! নাকি সেই পুরনো নিয়মেই চলবে সব? কারণ বীজপুরে এখন সব বড় বড় পুজো। যারা বাইরে থেকে বীজপুরে আসবেন তারা কিভাবে গোটা বীজপুর জুড়ে ঠাকুর দেখবেন?

যদি আপনারা কাঁচরাপাড়া স্টেশন রোড ধরে শহরে প্রবেশ করতে চান, তাহলে একটু সাবধান হোন। কারণ এবারের ট্রাফিকের নিয়ম এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সুতরাং গতবার যে নিয়ম ছিল তা ধরেই এগোচ্ছেন স্থানীয় নেতৃত্ব তথা বিভিন্ন ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষ।

তারা জানিয়েছেন পুজোর সময় থানার মোড়,লক্ষ্মী সিনেমা মোড়,গান্ধী মোড়,কলেজ মোড়,লিচুবাগান এমনকি অলিগলি পর্যন্ত পুরোপুরি ব্লক থাকে।

এইভাবে গোটা বীজপুর যদি ব্লক করে রাখা হয় তাহলে বাইরে থেকে যারা যানবাহন নিয়ে এখানে ঠাকুর দেখতে আসবেন,তারা কি করবেন?

 

শহরে ঢোকার মুখেই যদি ব্লক করা থাকে তাহলে বাইরের মানুষরা শহরে প্রবেশ করবেন কিভাবে এবং শহরের মানুষই বা বাইরে বেরোবেন কিভাবে?

 

এইসকল প্রশ্নই তুলেছেন সাধারণ মানুষ। যাতে এ বছর অন্তত ট্রাফিকের নিয়মে কিছু রদবদল করা হয়। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা যদি সুন্দরভাবে সাজানো যায় তবে সাধারণ মানুষ এবং বাইরে থেকে যারা ঠাকুর দেখতে আসছেন তাদের পক্ষেও অত্যন্ত সুবিধাজনক হয়।

শুধু দর্শনার্থী নয়,শহরের মানুষ পুজোর সময় যারা বাইরে অর্থাৎ কলকাতায় কর্মস্থলে যাচ্ছেন তাদের ফিরতে দেরি হয়। ফেরার পর শহরে প্রবেশ করতে গেলেই তাদের বিভিন্ন জায়গায় ব্লকেজের জন্য অলিগলি ঘুরে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।

সকল বিষয় মাথায় রেখে প্রশাসনের কাছে শহরবাসী অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে এবার ট্রাফিক পরিষেবা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হয় এবং নিয়মে কিছু রদবদল আনা হয়।