অবতক খবর,১২ মার্চ,বিরাটী : দোল মানেই রঙের উৎসব। আর এই রঙ নিয়ে নানান এলার্জি। তাই রঙের উৎসবকে বিপদ মুক্ত রাখতে আগেই ভেষজ রঙ অর্থাৎ আবিরের প্রচলন হয়েছিল। বিভিন্ন দোকানে সেই ভেষজ আবির কতটা নিরাপদ তা নিয়ে মানুষের মনে সংশয় ছিল। এবার সেই সংশয়ই দূর করতে খুশির খবর দিল উত্তর দমদম পুরসভা। অঞ্চলের মানুষের জন্য বাড়িতে ফেলে দেওয়া ফুল দিয়ে তৈরি একবারে ভেষজ আবির নিয়ে এলো তারা দোলের ঠিক মুখে। যা পৌছে যাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে অপরাজিতা গুলাল নামে সেই ভেষজ আবির পুর এলাকার ৪টি বিপনন কেন্দ্র থেকে কিনতে পারবে এলাকাবাসি। মঙ্গলবার বিকেলে পুর ভবনে সেই বিপনন কেন্দ্রগুলি উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্থানীয় বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস, উপপুরপ্রধান লোপামুদ্রা দত্ত চৌধুরী, নিউ ব্যারাকপুরের পুর প্রধান প্রবীর সাহা সহ উত্তর দমদমের পুর পারিষদ সদস্য ও কাউন্সিলররা। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকেই পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস ভেষজ আবির মুখ্যমন্ত্রী হাতে তুলে দেওয়া ঘোষণা করেন রাজ্যের মন্ত্রী স্থানীয় বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাত দিয়ে। মন্ত্রীও সেই আবির মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এই আবির পেলে খুশি হবেন। মুখ্যমন্ত্রী চান মেয়েরা আরো উদ্যোগ নিক। এই ভাবে সেল্ফ হেল্প গ্রুপে এগিয়ে যাক। নিজেদের আত্মবিশ্বাসী তৈরি করুক। প্রসঙ্গত, উত্তর দমদম পুর এলাকার বাড়ি বাড়ি থেকে নির্দিষ্ট দিনে পুজোর ফুল সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সেই ফুল কি করবে এ নিয়ে আলাপ আলোচনার মধ্যে পুরসভা ঠিক করে তারা আবির তৈরি করবে। একেবারে ভেষজ আবির। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। পুরসভার জনস্বাস্থ্য দফতরের তরফে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এরপর একত্রিত করে তাদেরকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয় ভেষজ আবির।
দোলের আগে সেই আবিরই এবার পুর এলাকার মানুষেরা যাতে ব্যবহার করতে পারে তার জন্য ৪টি বিপনন কেন্দ্র উদ্বোধন করা হলো। যার মূল্য কেজি প্রতি ৩৫০টাকা, ২৫০গ্রাম ১০০টাকা, ১০০গ্রাম ৪০টাকা। এই ভেষজ আবির পুর ভবন ছাড়া ও নিমতা পাঠানপুর মোড়, বিশরপাড়া যুব সমাজ ময়দানে ও ২৩৭বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বিপনন কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে। তাদের তৈরি আবির মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌছে যাবে এতে খুবই খুশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।