অবতক খবর: গত শনিবার রাজ্যে ছিল পঞ্চায়েত ভোট। বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সুষ্ঠ এবং অবাধ নির্বাচন হতে দেয়নি। এই অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুননির্বাচন ঘোষণা করে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সোমবার পুনর্নির্বাচনে সকাল থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত ৫৩.৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও জেলা থেকে বড়সড় অশান্তির খবর আসেনি। বীরভূম, দক্ষিণ দিনাজপুর, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমানে বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তি হয়েছে। ময়নায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। গঙ্গারামপুরে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
এদিকে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় একগাদা সকেট বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, রবিবার রাতে অপরিচিত কয়েক জনের গতিবিধি গ্রামবাসীদের চোখে পরে, যা তাদের কাছে সন্দেহজনক ঠেকেছিল। রাতেই তাঁদের নজরে আসে পুকুরের ধারে কিছু ব্যাগ। গ্রামবাসীরা তল্লাশি চালিয়ে ওই ব্যাগগুলি উদ্ধার করে। দু’টি ব্যাগে ছিল মোট ৩২টি সকেট বোমা। পরে পুলিশ এলে আরও দু’টি বোমা উদ্ধার হয়।
অন্যদিকে, সোনারপুরে তৃণমূলের বুথের কার্যকরী সভাপতির বাড়িতে হামলার অভিযোগ এসেছে। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সুজিত নস্কর সহ আরও চার জন গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, সোনারপুরের খেয়াদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দিয়াড়ায় বুথ সভাপতির বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বাড়ি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। লুটপাটও চালানো হয়।
ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী শেখ সুলতানার বাড়ি এবং গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।কাঠগড়ায় সিপিএম কর্মী ও সমর্থকদের দিকে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা এসে সুলতানার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে। বড় বড় পাথর ছোড়া হয়। পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর উত্তেজনা বাড়লে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।
পশ্চিম বর্ধমানে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ সিপিএমের বিরুদ্ধে। জামুরিয়ার ডাহুকা গ্রামে বুথ সভাপতি-সহ তিন জন তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে রবিবার রাতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। দাবি, সিপিএমের অন্তত ৫০ জন দুষ্কৃতী লাঠি এবং পাথর নিয়ে রাত ২টো নাগাদ তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম।