অবতক খবর,২৪ জুলাই: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা শাসক আয়েশা রানি আজ তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর অধীনস্থ রবীন্দ্র ভবন পরিদর্শনে যান। রবীন্দ্র ভবনের কাজ পরিদর্শনকালীন সময়ে জেলা শাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পূর্ত দপ্তর আধিকারিকরা। ১৯৭০-এর দশকে নির্মিত হওয়া দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাটের এই রবীন্দ্রভবনটি জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দীর্ঘসময় যাবৎ বহন করে আসলেও তৃণমূল কংগ্রেসের মা মাটি মানুষের সরকার আসার পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম সাংস্কৃতিক পীঠস্থান এই রবীন্দ্রভবন-এর ভগ্ন দশা ঘোচাতে প্রাথমিকভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই মত পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু বালুরঘাট শহরের এই রবীন্দ্রভবনটিকে নবরুপে সজ্জিত করার জন্য পরিকল্পনা রুপায়িত করার ৪০ শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকার বরাদ্দ করলেও বাকি ৬০ শতাংশ অর্থ কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ না করার কারনে ২০১৩-২০১৪ অর্থবর্ষে অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় রবীন্দ্রভবনের সংস্কার এবং রবীন্দ্রভবনটিকে নবরুপে সজ্জিত করার কাজ। পরবর্তীতে তৎকালীন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ উদ্যোগ নেন রবীন্দ্রভবনের সংস্কারে অর্থ বরাদ্দের জন্য। এরপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর বালুরঘাটের রবীন্দ্রভবন সংস্কার তৎসহ রবীন্দ্রভবনটিকে নবরুপে সজ্জিত করার পরিকল্পনা রুপায়নের জন্য খরচের একশো শতাংশ অর্থ বাবদ ৫ কোটি ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে ২০১৮ সালে। এদিন রবীন্দ্র ভবনের সংস্কারের কাজ পরিদর্শন শেষে জেলা শাসক আয়েশা রানি জানান, রবীন্দ্র ভবনের কাজ যেভাবে চলছিল তাতে ভিতরে আসন সংখ্যা কমে যাচ্ছিল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা রবীন্দ্রভবনের কাজ শেষ করে দেব।