অবতক খবর, নদীয়াঃ পেটেন্ট- ফি না মেটালে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ব্যাটারি চালিত ই-রিকশা বা টোটো-র রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজ্যে ই-রিকশা রেজিস্ট্রেশনের নামে বেআইনিভাবে লাইসেন্স প্রদান চলছে।
আলিপুর আদালত গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এবিষয়ে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে। গত ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভারতে তিন চাকার গাড়িতে পরিবেশ বান্ধব ব্যাটারি লাগিয়ে চালানোর পেটেন্ট পান কনিষ্ক সিনহা। ফলে ই- রিকশা গাড়িতে অন্যান্য সব গুণগত মান বজায় থাকলেও পেটেন্ট ফি না দেওয়া থাকলে তা বেআইনি বলে বিবেচিত হবে। ২০১৪ সালে পেটেন্টের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কনিষ্ক সিনহা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি প্রশাসনকে বেআইনি ই-রিকশা বা টোটো বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ কার্যকর তো হয়নি বরং হাইকোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পেটেন্ট ফি ছাড়াই অতিরিক্ত ১১,১৪২টি টোটোর রেজিস্ট্রেশন হয়েছে।
কনিষ্ক বাবু আলিপুর আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার সহ দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিরুদ্ধে এক বিশেষ মামলা করেন। সেই মামলা অনুযায়ী প্রতিটি টোটোর পেটেন্ট ফি বাবদ তাঁর সংস্থার পাঁচ হাজার টাকা প্রাপ্য। কিন্তু তা না দিয়ে ও হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসরণ না করে ইতিমধ্যেই ১১,১৪২টি টোটোর রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। এরফলে তাঁর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। কনিষ্ক সিনহা দাবি করেন, পেটেন্ট ফি ছাড়াই ই-রিকশা রেজিস্ট্রেশন প্রদানের প্রতারণা চলছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ড:অরুণ কুমার রাজ ও কনিষ্ক সিনহা সহ অন্যান্যরা।