অবতক খবর,২৩ নভেম্বর,অঞ্জন শুকুল,নদীয়া: জোড়া খুনের আসামী। সেই মর্মান্তিক ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ।করোনার কারণে এহেন দুষ্কৃতীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যেই ফের একজনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে শংকর হালদার নামে ওই আসামিকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনা কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে গতকাল রাত্রে ।
কৃষ্ণগঞ্জের ভেরি পাড়ার শংকর হালদার বাড়ি । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় 13 বছর আগে হাঁসখালি থানার চিত্রশালী এলাকায় আমবাগানে জোড়া খুন হয় সেই ঘটনায় তার বাবাসহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।আদালত তার বাবাসহ পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় ।কৃষ্ণনগর জেলা সংশোধনাগারে তাদের রাখা হয়েছিল ।সম্প্রতি করোনার কারণে শংকর ও তার বাবাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে প্যারোলে মুক্তি পাবার পর বাড়ি ফিরে নিয়মিত মদ খেয়ে ছোটখাটো অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ছিল শংকর ।গতকাল কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে ন বছরের এক কন্যা শিশুকে মোটরবাইকে ধাক্কা মারে ।
শিশুটি চিৎকার করে কেঁদে ওঠে ।শিশুর বাড়ির লোকজনেরা ছুটে আসে । শঙ্করেরসাথে কথা কাটাকাটি হয় স্হানীয় লোকজনের ।সেই সময় শিশুর জ্যাঠা তুতাই চ্যাটার্জী শংকর কে একটা চড় মারেন ।হাসপাতালের সামনে প্রচুর লোক জমে যায়, শংকর ক্ষমা চেয়ে নেয় । ফলে ব্যাপারটা মিটে যায় । কিছুক্ষণ পরে শংকর ফিরে এসে তুতায়ের বাবুকে গলায় গুলি করতে যাই বলে অভিযোগ তুতাই বাবুর ।
স্থানীয়রা শঙ্করকে পিস্তলসহ ধরে ফেলে আটকে রাখে । পুলিশ এসে শংকর কে গ্রেফতার করে ।তোতায় বাবুর কথাই প্রচুর পরিমাণে মদ খেয়েছিল সংকর ।যার ফলে তাকে চাপটে ধরে তার হাত থেকে পিস্তলটা কেড়ে নিতে পারি । এরপর কৃষ্ণগঞ্জ থানার খবর দেওয়া হয় । কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ এসে অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে । আজ কৃষ্ণনগর দায়রা আদালতে তোলা হলে বিচারপতি 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শংকর কে । এলাকাবাসী এই ঘটনায় স্তম্ভিত ।