অবতক খবর,৭ সেপ্টেম্বর: দিনের আলোয় প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ভাইরাল ভিডিওকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে সরগরম ইসলামপুর থানার ভদ্রকালী এলাকার রাজনৈতিক মহল।

ঘটনার জেরে এদিনও সোমবার ভদ্রকালী এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর পুলিশ। তবে ঘটনায় কেউই গ্রেপ্তার হয়নি। এলাকায় নতুন করে ঘটা অশান্তি রুখতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। চলছে কমব্যাট ফোর্সের টহলদারীও।
তবে আশ্চর্য্যজনকভাবে ভাইরাল ভিডিওকে ঘিরে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে জেরবার শাসকদল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী।

চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান অনুগামী গোষ্ঠীর দাবি, ভাইরাল ভিডিওটি পুরানো এবং গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ের ভিডিও। এছাড়াও গুলি চললেও গতকাল জাগিরগছ এলাকায় পারিবারিক বিবাদের জেরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।

অন্যদিকে ইসলামপুরের ব্লক তৃনমুল সভাপতি জাকির হুসেন অনুগামী গোষ্ঠীর দাবি, ভিডিওটি গতকালকেরই সুজালী লক্ষ্মীপুর থেকে দুষ্কৃতীদের এনে এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে এলাকারই দু’একজন। গোলাগুলির জেরে আতঙ্কে গ্রামছাড়া ঘরছাড়া ৩০টি পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভদ্রকালী বাজার সহ চা বাগানের দখল নিয়ে তৃণমুলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষ চলছিল। প্রচুর সংখ্যায় চা শ্রমিকও ঘটনার জেরে কাজ হারিয়েছে বলে অভিযোগ। জাকির গোষ্ঠী ভিডিও ভাইরাল করার আড়ালে হামিদুল গোষ্ঠীকে পরাজিত তথা দুর্বল করে এলাকার দখল নিতে বদ্ধ পরিকর বলে অভিযোগ। গোবিন্দপুর অঞ্চলটি ইসলামপুর ব্লকের অধীন হলেও চোপড়া বিধানসভার অন্তর্গত। গোবিন্দপুরের তৃণমূল নেতৃত্বও সেরকম হামিদুল ও জাকির দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত। গোবিন্দপুরের বর্তমান প্রধান রইসুদ্দিন আহমেদ, ইসলাম, সুইট সহ অন্যান্যরা জাকির গোষ্ঠীতে রয়েছেন। অপরদিকে গোবিন্দপুরের প্রাক্তন প্রধান সামসুদ্দিন ওরফে খোলাই, ঠুনু মহম্মদ, মইনু, হাবা সহ অন্যান্যরা হামিদুল গোষ্ঠীতে রয়েছেন। মূলত ভদ্রকালী বাজার এলাকার দখল কার হাতে থাকবে সেনিয়েই গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দফায় দফায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে অশান্ত হয়ে উঠছে ভদ্রকালী।

ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কর বলেন, মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।