বীজপুর বিধানসভার অন্তর্গত কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর পৌরসভায় আজ এই লকডাউনের সময়ে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গেল। আজ থেকে শুরু হয় রাজ্য সরকারের ‘প্রচেষ্টা’ ফর্ম জমা দেওয়ার তারিখ।এর মূল উদ্দেশ্য,বেরোজগারিদের এককালীন এক হাজার টাকা প্রদান।
আর সেই কারণেই দুই পৌরসভায় সকাল থেকেই দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়।দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এই ফর্ম জমা দিতে ছুটে আসেন পৌরসভায়। কিন্তু সেখানে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং কোনভাবেই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।ফলে দুই পৌরসভায় ছুটে যায় বীজপুর পুলিশ।
তারা গিয়ে জনসাধারণকে দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন করেন। কিন্তু তাতেও হয়নি। এরপরই সৃষ্টি হয় গন্ডগোল। লাঠি হাতে সেখানে পুলিশ ভিড় সামলায়।
কিন্তু অন্যদিকে যারা এই লকডাউন ভেঙে দূর দূরান্ত থেকে এককালীন ১ হাজার টাকা পাওয়ার আশায় এই ‘প্রচেষ্টা’ ফর্ম জমা দিতে এসেছিলেন তাদের মাথায় হাত পড়েছে। কারণ ভিড়ের চাপে এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশে এই ফর্ম জমা নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কাঁচরাপাড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান সুদামা রায় জানান যে,’ডিএম থেকে অর্ডার এসেছে, সেই কারণেই এই ফর্ম জমা নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। আবার কবে থেকে শুরু হবে সেই সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।’
কিন্তু এই টাকা পাওয়ার জন্য মানুষ যে সকাল থেকে লাইন দিয়ে বাড়ি ফেরত চলে গেল এবং এইভাবে মানুষকে যে নাজেহাল হতে হল,এর কারণে ক্ষুব্ধ জনসাধারণ। এর থেকে অনুমান করা যাচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গের যুব সম্প্রদায় কি অবস্থায় আছে এবং তাদের বেকার সমস্যা যে কত জটিল এবং কি পর্যায়ে আছে করোনা পরিস্থিতিতে তা অনুমান করা যাচ্ছে।
সামান্য এককালীন ১ হাজার টাকার জন্য এই যে যুব সম্প্রদায়ের ওপর পুলিশের নির্যাতন হল, এইযে লাঠির ভয় দেখিয়ে হটিয়ে দেওয়া হলো তাদের এর চেয়ে বড় অপমান আর কি হতে পারে?
করোনার সংক্রমণকে উপেক্ষা করে সামান্য ১ হাজার টাকার জন্য এই যে যুবকরা লাইন দিয়েছিল তাও আজকে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গে বেকার সমস্যা যে কি অবস্থায় রয়েছে আজকের ঘটনা তার প্রমাণ রাখছে।
এই একালীন এক হাজার টাকা প্রদানের প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘প্রচেষ্টা’, সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো।