অবতক খবর,৩০ মার্চ,মলয় দে,নদীয়া:- পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণাবতার শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১১তম আবির্ভাব তিথিতে মহা বারুণী স্নান ও মেলা উপলক্ষ্যে শ্রীশ্রী ঠাকুরের চরণে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাতে মতুয়া মহা সম্প্রদায়ের লাখো লাখো ভক্তদের ভিড় ঠাকুরবাড়িতে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকেই আজকের এই বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা বার্তা দেন সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে। সম্প্রতি সরকারী ছুটি ঘোষিত হয়েছে নেওয়া হয়েছে তাদের মঙ্গলের জন্য একাধিক প্রকল্প।
নদীয়ার শান্তিপুর পৌরসভার 14 এবং 5 নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থলে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে তৈরি হয়েছিলো ব্রহ্মাণ্ড কালীমাতা হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দির। বাংলাদেশ রাইটে শান্তিপুরের বেশ কয়েকটি কলোনি, ফুলিয়ার বসাক পাড়া অধিকাংশ এলাকায় তারা বসতি স্থাপন করে। তবে বর্তমান বাঘাযতীন পাড়ার এই মন্দিরে অবশ্য ঘন জঙ্গল ছিলো। আর সেখানেই বাস করতেন লক্ষী বান এবং তার স্বামী যারা পাগল পাগলী বলে পরিচিত। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষজনদের বিশ্বাস জন্মায় এই গুরু মাতার প্রতি।
তাদের প্রচারে এবং সহযোগিতায় এখন বহু জনসমাগম ঘটে শান্তিপুর এবং বহিরাগত গুরুভাইদের আগমনে। তবে এলাকায় সূত্রে জানা যায় 80 ঊর্ধ্ব তাদের গুরুমা বছরে আজকের এই একটি বিশেষ দিনে একমাত্র একদিন স্নান করেন। অথচ কোনো রকম শরীর খারাপ তো নয়ই এমনকি তার গা দিয়ে ফুলের সুগন্ধ পান ভক্তবৃন্দরা। সে সময় থেকেই ভিক্ষা করে মূলত হরিচাঁদ গুরুচাঁদ এর মূর্তি স্থাপন এবং মন্দিরের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন তিনি। মন্দির নির্মাণের জন্য স্থানীয় পৌরসভার সাহায্য প্রত্যাশা করে কথা বলেছেন তারা। এই উপলক্ষে আজ থেকে সাত দিন ধরে চলবে মেলা বাউল গান এবং হরি গান বিভিন্ন ধর্মীয় আলোচনা।