নরেশ ভকত :: অবতক খবর :: বাঁকুড়া ::   বিষ্ণুপুর যমুনাবাঁধ কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বাসুদেব শিকারি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারি বরাদ্দ মিড-ডে মিলের চাল ২ কেজি,ডাল ২৫০ গ্রাম, আলু ২ কেজি, এবং ৫০ এম এল সেনিটাইজার দেওয়ার কথা। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাত্র ছাত্রীদের চাল ২ কেজির যায়গায় ১ কেজি ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম দিচ্ছে, আলু ২ কেজির যায়গায় ১ কেজি ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম দিচ্ছে, এবং ডাল ২৫০ গ্রামের যায়গায় ২০০ গ্রাম দিচ্ছে। সেনিটাইজার কোন ছাত্র ছাত্রীকেই দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকরা বিদ্যালয় পরিদর্শককে অভিযোগ জানান এবং বিষ্ণুপুর থানায় খবর দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ও এস আই ঈশিতা সেন তড়িঘড়ি বিদ্যালয়ে এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব শিকারি সমস্ত বিষয়টি কার্য কলাপ করেছেন বলে লিখিত সিকারত্ত পত্র দিয়েছেন।

বিষ্ণুপুর যমুনাবাঁধ কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বাসুদেব শিকারি বলেন, এতো চাল,ডাল আলু একজনের পক্ষে ওজন করা যায়না,ওন্যের সাহায্য নিতে হয়।এবং কিছু মহিলার সাহায্য নিয়ে ওজন করা হয়। মাটিতে পরে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে। মোটা পলিথিনের টাকা মেকাপ করতে হয়।ওজনে কম দেওয়ার উত্তরে বলেন কোথাও মিসটেক আছে।

অভিভাবক প্রশান্ত দে বলেন, স্কুল থেকে পাওয়া চাল,ডাল,আলু বাড়িতে গিয়ে দেখে সরকারি বরাদ্দ থেকে ওজনে কম। তখনই এসে প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করে ওজনে কম কেন,শিক্ষক উত্তরে বলেন, যে রকম আসে সেরকম দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কর্ম যেন উনি না করতে পারেন। বা ওনাকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।দরকার পড়লে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।