আমার জীবনের লক্ষ্য আমি স্থির করে ফেলেছি। এতোদিন দিশেহারা ছিলাম। দুজন মানুষ খুঁজে পেয়েছি যাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করা যায়।
প্রিয়তম ও প্রিয়তমার প্রতি
তমাল সাহা
কত লোক কতকিছু পারে
আমার মাথা নিচু হয়ে আসে
আমি তার এক কণাও পারি না।
একটি লোক বলেছিল বছরে দু কোটি চাকরি দেবে,
প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে কড়কড়ে নোট,
পরিমাণ এত বেশি যে
আজ আমি আর মনে
রাখতে পারি না।
একটা লোক কালো টাকা সব
বিদেশ থেকে এনে দেশকে
সোনার করে দেবে বলেছিল
অথচ দেশকে ফতুর করে পালিয়ে গেল কজন শিল্পপতি,
আমরা চৌকিদার হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
কত লোক কত কিছু পারে
আমি চুপ করে দেখি
কিন্তু কিছুই শিখতে পারি না।
একটা লোক দাঙ্গাবাজ থেকে
কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যায় ভারতীয় উপকূলে তা শুধু আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ জানে, আমি জানিনা।
যে নারীটিকে প্রিয়তমাসু বলে চিঠি লিখবো ভেবেছিলাম, তার আটপৌরে পোশাক মুগ্ধতা এনেছিল,
হাঁটলেই পাওয়া যেত মাটি-মানুষের গন্ধ,
তার সবকিছু শ্রীযুক্ত হলেও এখন আমি তার বিশ্রী ধরতে পারি।
ভালোবাসা মিথ্যাবাদী হয়ে যাবার পরে তার কাছে চিঠি লেখা তো দূরের কথা, আমি
আর তার দিকেই তাকাই না।
আমার এসব ভাবনা লিখতেও আমার ভয়।
আবহাওয়ার কথা শুধু হাওয়া-মোরগ জানে
কখন কী হয়!