অবতক খবর,১৪ নভেম্বর: রাজু বিশ্বাস। একডাকে বীজপুরের মানুষ চেনেন এই রাজু বিশ্বাসকে। দলবদল তো অনেক বড় বড় তাবড়-তাবড় নেতারাই করেছেন কিন্তু এই রাজু বিশ্বাস তিনি তৃণমূলেই রয়ে গেলেন। ২০১৯-এর গেরুয়া ঝড়ও তাঁকে গেরুয়া শিবিরে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারেনি। কাঁচরাপাড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমন হোক বা সংগঠন মজবুত করা, কোন কিছুতেই তিনি পিছুপা হননি। করোনা কালেও তিনি মানুষের জন্য লড়াই করে গেছেন। বিগত বেশ কিছু সময় ধরে তাঁকে সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি। কেউ বলছে তাঁকে কোন ঠাসা করে দেওয়া হয়েছে,আবার কেউ বলছে, কেউ কেউ বলছে তাঁকে রাজনীতিতে আসতেই দেওয়া হচ্ছে না। এরকম বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন কথা শুরু হয়েছে। কিন্তু তিনি নীরবেই তাঁর কাজ করে চলেছেন।
এবার কালী পুজোতে দেখা গেল হালিশহর পৌরসভার ২ এবং ৩ নং ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি পুজো মন্ডপ পরিদর্শন করলেন এবং তাঁর হাত ধরে উদ্বোধন হলো কালীপুজো। কিন্তু রাজু বিশ্বাস আগামীতে কি করবেন তা জানতেই আগ্রহী মানুষজন। কলকাতা বা অন্যত্র যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল মিটিং হচ্ছে তখন সেখানে দেখা যাচ্ছে রাজু বিশ্বাসকে। কিন্তু বীজপুরের রাজনীতিতে সক্রিয় নন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বীজপুরে এখন তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী ভীষন সক্রিয়। কিন্তু এই রাজু বিশ্বাসকে কোন গোষ্ঠীতেই দেখা যাচ্ছে না। মানুষ ভাবছেন এই দুই গোষ্ঠীর যেকোনো একটিকে হয়তো রাজু বিশ্বাস সমর্থন করবেন। কিন্তু তিনি একাই মানুষের কাজ করে যাচ্ছেন।