অবতক খবর,১১ আগস্ট:বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সার্জারি হাউজস্টাফ ছাত্রের রহস্যমৃত্যু।তিনতলার ছাদ থেকে পড়েই তার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শেখ মোবারক হোসেন। বাড়ি নাদনঘাটে।

তার বাবা শেখ হাফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন,তাদের জানানো হয়েছিল ছেলে সিরিয়াস অবস্থা।এসে দেখেন মৃত।তাদের সন্দেহ তাকে খুন করা হয়েছে। তার দেহে ছেচড়ে নেবার চিহ্ন দেখার দাবি পিতার।
এ মাসের ১৫ আগস্ট কাউন্সেলিং এর পর তার হাউসস্টাফ হিসেবে জয়েনের কথা।
তার বাবা জানান,তার সাথে একটি মেয়ের ছবি ফেসবুকে দেখেছেন। বিয়ে দিতে তার আপত্তি নেই, ছেলেকে জানিয়েছিলেন।গত পরশু শেষ কথা হয়েছে। এই কান্ডে বাকহীন তারা।
মৃতের মামা জানিয়েছেন, কারো সাথে শত্রুতার খবর তাদের কাছে ছিল না।এক সহপাঠী গ্রামে খবর দেন।ভোরে এসে তারা এই দৃশ্য দেখে হতবাক।
একটি মেয়ের সাথে দু বছর আগে সম্পর্ক হয়েছিল।পরে মোবারক বাড়িতে জানায় ওর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। তাদের দাবি এর তদন্ত হোক।আত্মহত্যা নয়।ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন তারা। এটা পরিকল্পিত খুন সন্দেহ তাদের।
অন্যদিকে মেডিকেল কলেজের ছাত্র ডাঃ শাহ আলম জানান,তখন আনুমানিক ২.৪৫ মিনিট। হঠাৎ জোরে কিছু পড়ার শব্দ শুনে চেঁচামেচি শুরু হয়।তারা বাইরে এসে দেখেন তাদের এক ছাত্র পরে আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেই অবস্থায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসেন তারা।তারা উদ্ধারকাজে হাত লাগান।তার ধারণা কিছু একটা ঘটেছে।সেটা আত্মহত্যা কিনা তারা ঠিক বলতে পারবেন না।পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

অন্যদিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল সুহৃতা পাল জানান,এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। হাসপাতালে অক্লান্ত চেষ্টা করা হয়েছে।তবুও তাকে বাঁচানো যায়নি। তিনি জানিয়েছেন,বয়েজ হোস্টেলের ছাদ যেখান থেকে ছাত্রটি পড়ে গেছে সেখানে পুলিশ গেছে। ছাত্রদের সাথে কথা বলছে।
ডি এস পি ও বর্ধমান থানার আই সি ঘটনাস্থলে এসেছেন।ঘটনার পুরো তদন্ত হবে আইন মেনে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা আসবেন খতিয়ে দেখতে।

বাড়ির লোকের খুনের সন্দেহ নিয়ে প্রিন্সিপাল কিছু বলতে চান নি।
এইরকম একটি তরতাজা মেধাবী ছাত্রের রহস্যজন মৃত্যু অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তদন্তের পরই যার যবনিকা পড়তে পারে।