অবতক খবর,২১ মে: ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য ফাটল ধরেছিল বউবাজারের বেশ কয়েকটি বাড়িতে। সেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা পুরসভার হাতে ,তুলে দিল বিশেষজ্ঞরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপকরা এই সমীক্ষা করেছিল। সেই সমীক্ষাতে বলাহয় বাড়িতে ফাটল ধরেছিল কী কারণে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী,দুর্গা পিতুরি লেনের মাটি অত্যন্ত দুর্বল ও নরম থাকার কারণে বাড়িগুলি ফাটল পরে । বিশেষজ্ঞরা তাঁদের সমীক্ষাতে বলেন এইসময় মেট্রোর কাজ শুরু করলে বিপদ বাড়তে পারে। বাড়িগুলি ধসে যাওয়ারও সম্ভবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মাটি পরীক্ষা করবেন। যাচাই করে দেখা হবে এলাকার মানচিত্র। তারপরই চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। মেট্রোর জন্য ধর্মতলা ও শিয়ালদার পর্যন্ত ৯ মিটার সুড়ঙ্গের কাজ বাকি রয়েছে। তার ওপরে অবস্থিত কয়েকটি বাড়ি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ দিয়েছেন বাড়িগুলিরস্বাস্থ্য পরীক্ষার করার।
তাঁদের মতে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বর্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে মেট্রোর কাজের জন্য বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। রাতারাতি ঘর ছাড়া হন সেখানকার বাসিন্দারা। পুনর্বাসনের দাবিতে সরব হন বাসিন্দারা। কেএমআরসিএলের সঙ্গে বৈঠক হয়। বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে আশ্বাস মেলে। যদিও তা মানতে নারাজ এলাকাবাসী।
তিন বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তি। ২০১৯-এর পর ২০২২। এবারও সেই দুর্গাপিতুরি লেন।আগেরবার ৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ভেঙে দিতে হয়েছিল বাড়িগুলি। আবার ভাঙা হচ্ছে বাড়ি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে নির্দেশ দেওয়া হয় ১৬ নম্বর এবং ১৬/১ নম্বর বাড়ির একাংশ ভাঙার। ১৫ নম্বর দুর্গাপিটুরি লেন বাড়িটি আগেই কলকাতা পুরসভার খাতায় বিপজ্জনক বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত ছিল। বাড়িটির একাংশ হেলে পড়েছিল পাশে থাকা ১৪ নম্বর বাড়ির দিকে। ১৫ নম্বর বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হতে পারে বলে জানায় হয় ।
তবে কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয় আগে ওই এলাকায় মাটির পরিস্থিতি ঠিক কীরকম তা খতিয়ে দেখা হবে। তার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল এবং আইআইটি রুরকির দলকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। সেই রিপোর্টে বলা হয় বর্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে হবে।