অবতক খবর , সংবাদদাতা , মুর্শিদাবাদ :- বহরমপুর এ দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন ভারতবর্ষের যারা ক্ষমতায় আছে ,রাজনীতির মূল ভাবধারায় ভারতের সাম্প্রদায়িকতা ধর্মীয় মেরুকরণ শাসক দলের মূল এজেন্ডা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর কখনোই পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির প্রচলন ছিল না এখন সাম্প্রদায়িকতা জড়িয়ে যাচ্ছে। ভারতবর্ষে হিন্দুদের সংখ্যা ৮০ শতাংশ সেখানে মুসলিমদের সংখ্যা ১৪ শতাংশ । ভারতবর্ষে সরকারের যে পার্টি আছে সমস্ত হিন্দুদের বিজেপি পার্টি পরিণত করতে চাইছে।১০০ বছর এই পার্টিকে সাম্প্রদায়িক থেকে রেখেছিল ধর্মনিরপেক্ষ পার্টি শক্তি জাতীয় কংগ্রেস যে দল সর্বনাশের সাথে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে বজায় রাখতে চাই।
তৃণমূল দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন যতদিন যাবে তৃণমূল দল ভেঙে যাবে। মমতা ব্যানার্জি একদিন দল ভাঙার কাজ করেছিল কংগ্রেস-তৃণমূল গঠন হয়েছিল। এখন তার উল্টোটা হওয়াটাই স্বাভাবিক , আগামী দিনে তৃণমূল দল থাকবে না বলে তার মত।সমস্ত তৃণমূল নেতা কর্মীর কাছে তার আবেদন ধর্মনিরপেক্ষ দলে এসে কংগ্রেসের হাতে শক্ত করুন এটাই তার পরামর্শ। সকলকে দেখতে আসার নেমন্তন্ন জানালেন তিনি।
সিবিআই তদন্ত হলে পুলিশ অফিসারদের জেল হয়ে যাবে , ছোট-বড় সবাই পয়সা খেয়েছে , সমস্যায় পড়বেন এসআই , এআইরা বড় অফিসারদের তো আর ধরা যাবেনা। কারণ মুর্শিদাবাদ সীমান্তবর্তী এলাকা হলে বিএসএফ কাস্টমস এই কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলির গরু পাচার ও কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে তিনি জানান।এই কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে শাসক দলের নেতারা।
মুর্শিদাবাদে আসছে পিএসসি আসলে যে কমিটি আছে এই দলটি বিভিন্ন বড় বড় শহরে ঘুরে সার্ভে করে থাকে। কলকাতার পরে মুর্শিদাবাদে এই দল পর্যবেক্ষণ করবে ভারত সরকারের যে প্রকল্পে পলিসি অর্থ খরচ তারমধ্যে রেল বন্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। এবার মুর্শিদাবাদে বেছে নেওয়ার কারণ এখানকার কৃষকরা জুতো টেক্সটাইল সঙ্গে যুক্ত কৃষকদের কাছে জানতে চাওয়া হবে সঠিক মত , তারা পাচ্ছেন কিনা সুবিধাগুলি।
কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে কেন্দ্র হয়তো ভাবছে কিছুদিন পর তারা পরী ক্লান্ত হয়ে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবে।