অবতক খবর , রাজ্ , হাওড়া :- দুই দিন আগে তার বিধানসভা এলাকায় তাকে বহিরাগত বলে পোস্টার দেখা যায়। সেই পোস্টারের নীচে লেখা ছিল সক্রিয় তৃণমূল কর্মীরা। সেই পোস্টার জনসমক্ষে আসতেই জেলা রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। পোস্টার কাণ্ডের ঠিক দুদিন পরে সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন বালির বিধায়ীকা বৈশালী ডালমিয়া। তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে নিজের দলকেই বিঁধলেন তিনি এবং শোনা গেল অন্য সুর যা নিয়ে ইতিমধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।
তিনি স্পষ্টতই বলেন এরা তো (তৃণমূল) দেশের প্রধানমন্ত্রী কেউ বহিরাগত বলেন। জানেনই না প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের প্রধান। বাইরের রাজ্য থেকে কেউ এলে তাঁকে বহিরাগত বলা হচ্ছে। ভারতবর্ষ যে একটি দেশ সেটাই মানতে চায় না। যখন প্রধানমন্ত্রী কে বহিরাগত বলা হচ্ছে তখন আমি তো কোন ছাড়।
প্রসঙ্গত ঠিক দুইদিন আগে বালি এলাকার বাদমতলা মোড়ে ছেয়ে গেছিলো পোস্টার। সেই পোস্টারে দলের সুপ্রিমো কে উদেশ্য করে বলা হয়েছিল এবার আর কোনো বহিরাগত নয়। বরং বালির মানুষকেই প্রার্থী করতে হবে। সেই পোস্টারে লেখা ছিল প্রচারে সক্রিয় তৃণমূল কর্মীরা।সেই প্রসঙ্গে বিধায়ীকা বলেন তিনি কোনো বহিরাগত নন। বালিতে তার নিজের বাড়ি আছে বিষয় সম্পত্তি আছে। সম্প্রতি তাকে উদেশ্য করে স্থানীয় প্রাক্তন পৌর প্রতিনিধি বিস্তর অভিযোগ আনেন। ২০১৬ সালের পরে পরেই তার বিরুদ্ধে সরব হন বালি এলাকার বেশ কিছু শাসক দলের নেতা। তারা অভিযোগ করেন উচ্চ নেতৃত্বকে বাদ দিয়েই তিনি তার অনুগামীদের নিয়ে সমান্তরাল সংগঠন চালাচ্ছেন। যদিও সেই অভিযোগ কে গুরুত্ব না দিয়ে সম্প্রতি তাকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ হিসাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারপরেই এই পোস্টার কান্ড ঘটার পেছনে দলের মধ্যেই তার বিরোধীগোষ্ঠীর মদত রয়েছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। পোস্টার কাণ্ডের প্রসঙ্গে বিধায়ীকার মন্তব্য কে গেরুয়া শিবির ঘেঁষা মন্তব্য বলেও মনে করছেন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা।