নরেশ ভকত :: অবতক খবর ::১৩ই,ডিসেম্বর :: বাঁকুড়াঃ :: বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সূত্রে দাবী, ওন্দার নিকুঞ্জপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে টিএমসিপিতে যোগ দিয়েছেন। ওন্দা মহাবিদ্যালয়ের ১২ জন এবিভিপি সদস্য টিএমসিপিতে যোগ দিয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে তৃণমূলের দাবী সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে।
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সূত্রে খবর, একদিকে নিকুঞ্জপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। অন্যদিকে, ওন্দা থানা মহাবিদ্যালয়ে সক্রিয় এবিভিপি কর্মী সুশান্ত মণ্ডলের নেতৃত্বে ১২ জন টিএমসিপিতে যোগ দিয়েছেন। তাদের হাতে দল- সংগঠনের পতাকা তুলে দেন দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা ও তৃণমূলের বিধায়ক অরুপ খাঁ।
বৈদ্যনাথ মাঝি নিজেকে ‘পুরাণো’ তৃণমূল কর্মী দাবী করে বলেন, দলের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’র জন্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ফের তিনি তৃণমূলে ফিরে এলেন বলে তিনি জানান।
ওন্দা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক অরুপ খাঁর বলেন, লোকসভা ভোটে ফলাফল যাই হোকনা কেন লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর অনেকেই বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। তারাই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে দলে ফিরে আসছেন। আগামী কলেজের নির্বাচনে টিএমসিপি বিপুলভাবে জিতবে।
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, লোকসভা ভোটের পর ‘বিজেপির সন্ত্রাসে’র কারণে অনেকেই দল ছেড়ে চলেগিয়ে ছিল। তারা আবার পুনরায় দলে ফিরে আসছে।
বিজেপি বাঁকুড়া জেলা যুব মোর্চার সম্পাদক সৌগত পাত্র ‘দলবদলে’র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ‘শিয়ালের কুমির ছানা দেখানো’ গল্পের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তৃণমূল নিজেদের লোকেদের বিজেপি সাজিয়ে বারবার দলে যোগদান দেখাচ্ছে। একই সঙ্গে অনেক জায়গায় তাদের সমর্থকদের মিথ্যাভাবে পুলিশী মামলায় ফাঁসিয়ে তৃণমূলে যোগদান করাচ্ছে বলেও তিনি দাবী করেন।