অবতক খবর: দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। প্রচারে কোনও খামতি রাখছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার অভিষেকের সভা পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনির সভা থেকে অভিষেকের হুঙ্কার, ‘বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে হবে৷ কেন্দ্রের যে সরকার বাংলাকে বঞ্চিত করে রেখেছে, তাদের দলকে একটাও ভোট নয়। সাধারণ মানুষ ওদের কাছে মাথা নত করবে না৷ বহিরাগতদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করব না।‘
অভিষেকের কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি দূর্নীতির বিরুদ্ধে গ্যারান্টার। এদিকে, এই পশ্চিম মেদিনীপুরের সবচেয়ে বড় চোর জিতেন্দ্র তিওয়ারি বসে আছে বিজেপিতে গিয়ে। বিজেপি এমন একটা দল, যেটা রেখে দিলে আলসার, আর কেটে দিলে ক্যানসার। বিধানসভায় ৮ দফায় ভোট করেছিল। কোভিডের সময়ে ভোট করেছিল। সেই ৮ দফার জবাব ৮ জুলাই দেওয়া হবে। পদ্মফুল যেন সর্ষে ফুল দেখে ১১ জুলাই।‘
‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ জনসংযোগ যাত্রায় কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ সব জেলাতেই গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়ের ভোটের প্রচারে বেশ কিছু জেলায় রয়েছে তাঁর সভা, রোড-শো। এদিনের বারাবনির সভা থেকে অভিষেক বলেন, ” নবজোয়ারে বলেছিলাম, মানুষ প্রার্থী ঠিক করবে। তাই করা হয়েছে। নির্বাচনে যাঁরা দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা কেউ তৃণমূলের প্রার্থী নয়। এরা আপনাদের বাছাই করা প্রার্থী।পথে নেমে আপনাদের আন্দোলন সংঘটিত করতে হবে৷ বিজেপির সরকারের গা-জোয়ারির দাম বেশি না মানুষের জোর বেশি, সেটা দেখাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর অহংকার মাটিতে নামিয়ে, দম্ভ চূর্ণ করতে হবে।’
অভিষেক সভায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আসানসোলে লোকসভায় বিজেপি প্রথমে জিতেছিল। পরে উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এখানে জেতে। পঞ্চায়েতে সেই জয় বজায় রাখতে হবে। গ্যাসের দাম বাড়ছে, সাধারণ মানুষের খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হওয়ার জোগার’। সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন অভিষেক, ‘যারা আপনাদের পাশে থাকছে, সমস্ত পরিষেবা দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে থাকবেন? না যারা লুটছে তাদের সঙ্গে থাকবেন? সিদ্ধান্ত আপনাদের। ’
অভিষেকের সভায় দারিয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, ‘অনেক বাবা-বাছা হয়েছে। অনেক সৌজন্যের রাজনীতি হয়েছে। আজ ট্রেলার দেখালাম। এবার সিনেমাটা পুরো দেখাব দিল্লিতে।’