অবতক খবর, বর্ধমানঃ ইস্পাত কলোনীর কুমারমঙ্গলম পার্কে আজ সকালে ব্যাপক হামলা চালাল ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব ঘোষের নেতৃত্বে একদল যুবক । ব্যাপক মারধোর করা হয় লিজ নেওয়া পার্কটির কর্নধার দেবাশীষ রায়কে । চলে তিন রাউন্ড গুলিও , এমনই অভিযোগ । পার্কের ভেতর দেবাশীষ বাবুর একটি রেস্তোরাঁ ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ । এমনকি রেস্তোরাঁর ভেতরে থাকা সিসিটিভি , ল্যাপটপ , কম্পিউটারও ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ।ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর থানার পুলিশ সহ কমব্যাট ফোর্স ।
ঘটনার সুত্রপাত পার্কের ভেতর একটি অনুষ্ঠান করাকে ঘিরে । দুর্গাপুর ইস্পাতের এই পার্কটি লিজ নেওয়া রয়েছে এক্সল্ট সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একটি সংস্থার । সংস্থার সাথে আইনী লড়াই চলছে ইস্পাত কর্তৃপক্ষের । দেবাশীষ রায় এক্সল্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্নধার , যিনি বিজেপি দলের সাথে যুক্ত রয়েছেন । এক্সল্টের থেকে সাব লিজ নিয়ে ডলফিন নামের একটি সংস্থা ওই পার্কেই একটি স্ন্যাক্স কাউন্টার চালায় । আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী ডলফিন সংস্থা একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল , যেখানে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শশী পাঁজা , শান্তিরাম মাহাত , তৃণমূল জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারী সহ শীর্ষ স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃত্বের উপস্থিত থাকার কথা ।
যেহেতু এই মুহুর্তে দুর্গাপুর ইস্পাতের সঙ্গে এক্সল্ট সার্ভিসের আইনী লড়াই চলছে , তাই এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি এক্সল্ট । পুলিশকেও আগাম জানানো ছিল বলে দাবি দেবাশীষবাবুর । এরপরই আজ সকালে এই হামলা । ঘটনায় দেবাশীষ রায় সহ ৩ থেকে ৪ জন আহত । পার্কের এক কর্মী অতুল বাগদী জানান, শেখর নামের এক তৃণমূল কর্মী তিন রাউন্ড গুলি চালায় ও প্রায় শ খানেক ছেলে এসে মারধোর সহ ভাঙচুর চালায় । ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব ঘোষের নেতৃত্বেই এই হামলা বলে অভিযোগ ওই বিজেপি কর্মীর । পুলিশের সামনেই হামলাকারীরা তান্ডব চালায় বলে অভিযোগ । ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইস্পাত কলোনীতে ।
গোটা ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতা দেবাশীষ রায় জানিয়েছেন, ‘ঘটনার আগে থেকেই স্থানীয় থানায় জানিয়েছি। আইসি সাহেব দেখছি , দেখবো করে সময় নিয়েছেন, উল্টে আইসি সাহেব আআর বলেছেন এই ঘটনা নিয়ে যেন রাজনীতির রঙ চড়ানো না হয় ।’ দেবাশীষ বাবু এও জানিয়েছেন, ‘৬০-৭০ জন লোক মিলে আমার ওপড় ঝাপিয়ে পরে । আমাকে হেনস্তা করাহয়েছে, মারধর করা হয়েছে, সম্পত্তি ভাঙচুর হয়েছে আমার । বিজেপি করার কারনে এই হামলা ঘটেছে আমার ওপর। তিন রাউন্ড গুলি চলেছে । আমার কর্মী দীপক চ্যাটার্জী আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অতনু বাগদি জানিয়েছেন, আমার রাজনৈতিক পরিচয় আমি বিজেপি কর্মী । ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব ঘোষের নেতৃতবে ৬০-৭০ জনের বাহিনী আমাকে বেধড়ক মারধর করেছে । এই সময়ে তৃণমূল কর্মী শেখর আমাকে টার্গেট করে তিন রাউন্ড গুলি চালিয়েছে ।’
১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব ঘোষ জানিয়েছেন, ‘গুলি চালানোর ঘটনা ভেক কথা। নিজেদের দোষ চাপা দেওয়ার জন্য এমন অভিযোগ তুলছে । ওই অঞ্চলে রাতের অন্ধকারে অবৈধ কারবার চলে । পার্ক কর্তৃপক্ষের মদতে চলছে ।স্থানীয় মহিলাদের কটূক্তি করা হয়, ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। গোটা ঘটনা এই ক্ষোভের প্রকাশ ।’