অবতক খবর,১৬ জুলাইঃ নদীয়া:-বিজেপি সংসদ জগন্নাথ সরকারের বাড়ির পাশে,নিজের গ্রাম সভা এলাকায় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যা নিয়ে সর গরম বিজেপির তৃণমূল দুই শিবিরেই।
আজ সন্ধ্যায় নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়জিয়াকুড় এলাকার ২১ নম্বর সংসদের১৩ নং গ্রামসভা থেকে বিজেপি মেম্বার উর্মিলা সরকার রানাঘাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। যদিও গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে, উর্মিলাদেবী তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেন পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগদান করার পর আজ প্রত্যাবর্তন। বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অন্যান্য তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যদের মতো কাটমানি দুর্নীতিতে করে কম্মে খেতে পারছেন না বলেই হয়তো ঝাঁকের কই ঝাঁকে ফিরেছে।
তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, সাময়িক মোহগ্রস্ত হয়ে অনেকেই বিজেপিতে গেছে তবে ঘরে ফেরা শুরু হয়েছে বহুদিন আগে থেকেই। এ রাজ্যে তাদের কোন স্থান নেই জেনেই হয়তো প্রত্যাবর্তন।
তবে যোগদানকারী পঞ্চায়েত সদস্যা এবং তার দুই শতাধিক অনুগামীরা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন তাদের এলাকার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে, করোনা পরিস্থিতি এবং তার পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরাজ্যে যে যেভাবে প্রতিটি ব্লক এবং শহরে বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের দ্বারা মানুষের উন্নতি করে চলেছেন, তাতে শামিল না হওয়া মানে, মানুষকে বঞ্চিত করা। অন্যদিকে ধর্মীয় বিভাজন, বিভিন্ন লাভ জনক সংস্থা এবং কলকারখানায় বেসরকারি করন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লাগামহীন মূল্যবোধের বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে তৃণমূল ছত্রছায়া প্রয়োজন, সকলের সাথে আলোচনা করেই এই যোগদান।
প্রত্যাবর্তন হোক বা যোগদান এই পর্বে উপস্থিত ছিলেন, রানাঘাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তাপস ঘোষ,শান্তিপুর ব্লক বি তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কানাই দেবনাথ, আরবান্দি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি উত্তম বিশ্বাস, আড়বান্দি পঞ্চায়েত প্রধান অলিভিয়া সন্ন্যাসী সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি এবং তৃণমূল শাখা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।