অবতক খবর,২৯ মার্চ: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি ঐতিহাসিক দিন আজ। এই দিনটির জন্য উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার ব্যারাকপুর মহাকুমা অত্যন্ত গর্বিত। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহের সূচনা করেছিলেন এক সাধারণ সৈনিক মঙ্গল পান্ডে ব্যারাকপুর সেনা ছাউনিতে। আজ ২৯ মার্চ সেই ঐতিহাসিক দিন। এইদিন তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করে দুজন ব্রিগেডিয়ার যার মধ্যে অন্যতম লেপ্টেন্যান্ট বৌর্গ, তাঁকে তিনি আক্রমণ করেন। মঙ্গল পান্ডে ছিলেন একজন সাধারণ সৈনিক। তিনি নেটিভ ইনফ্যানটির একজন সৈনিক ছিলেন। তাঁর মধ্যে যে দেশীয় চেতনা ছিল, জাতীয়তাবাদ বোধ ছিল এবং দেশপ্রেম ছিল তা এক বিরল দৃষ্টান্ত।
কাঁচরাপাড়া সহরের মূলকেন্দ্রে মহাত্মা গান্ধী রোডে যা পূর্বে বনগাঁ রোড নামে পরিচিত ছিল সেই রেলওয়ে ব্রিজ সংলগ্ন অঞ্চলে মঙ্গল পান্ডের একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপিত হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে। আজ দেখা গেল সেই মূর্তিটি ধুলি ধূসরিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাঁর বেদীতে ছোপানো রয়েছে গুটকার পিকে। অর্থাৎ মঙ্গল পান্ডে কাঁচরাপাড়ার নাগরিক জীবনে অপমানিত ও অসম্মানিত। কারা কেন এই মূর্তিটি কিসের উদ্দেশ্যে স্থাপন করেছিলেন, আমাদের জানা নেই। তাঁকে পরবর্তীকালে অসম্মান প্রদর্শন করা হবে বলেই কি স্থাপন করা হয়েছিল?
এই মূর্তিটি কার, কে এই মানুষটি, কেন স্থাপন, তাঁর জন্মদিন মৃত্যুদিন কবে কোনো কিছুরই উল্লেখ নেই মূর্তি স্থাপিত বেদীতে।
এই মূর্তিটি স্থাপনকালেই বোধহয় সেই মূর্তিতে একবার মাল্যদান করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অসংখ্যবার তাঁর জন্মদিন মৃত্যুদিন চলে গেছে,চলে গেছে ২৯শে মার্চের মতো ঐতিহাসিক দিন। তাঁকে বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা জানানো হয়নি। পৌরসভার পক্ষ থেকে তো জানানো হয়ইনি দেশের মুক্তির জন্য দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য যারা পাগল সেই রাজনৈতিক দলগুলি তা সিপিএম,কংগ্রেস,তৃণমূল বিজেপি যেই হোক না কেন তারা আজ পর্যন্ত মূর্তিটির প্রতি কোনো শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন নি। এই অসম্মান প্রদর্শন কি একটি নাগরিক ঐতিহ্য? আজও সেই ঐতিহ্য অনুসরণ করতে দেখা গেল মূর্তি স্থাপকদের ।