অবতক খবর,২১ ফেব্রুয়ারি : পঞ্চায়েত ভোটের আগে নজরে উত্তরবঙ্গ। মঙ্গলবার ফের উত্তরবঙ্গে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়িতে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে একটি জনসভায় বক্তৃতা দেবেন তিনি। আজ বিকেলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি একটি জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। সেখানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা বিলি করবেন নিজের হাতে। প্রসঙ্গত, সোমবারই রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব। সেখানে বিজেপির অন্দরেই দ্বিমত দেখা গিয়েছে। বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা উত্তরবঙ্গ ভাগের কথা সরাসরি না বললেও, এই ইস্যুতে গণভোটের দাবি তুলেছেন তিনি। যদিও রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিজেপি বঙ্গভঙ্গ চায় না। বলেছেন, ‘এক পশ্চিমবঙ্গ, শ্রেষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গ’। উল্টে এই বঙ্গভঙ্গের ইস্যুটি যে শাসক শিবির নির্বাচনী এজেন্ডা হিসেবে ব্যবহার করছে, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাজ্য বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রীর এই উত্তরবঙ্গ সফর। স্বাভাবিকভাবেই কৌতুহল বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে। এদিনের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্যে বঙ্গভঙ্গ প্রসঙ্গ উঠে আসে কি না, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। এদিকে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে। সেখানে মঞ্চ তৈরি করার জন্য মাঠের একাধিক জায়গায় গর্ত করা হয়েছে। তা নিয়েও আবার ক্ষোভ ছড়িয়েছে ক্রীড়ামহলে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী যখন শিলিগুড়িতে আসছেন, তখন শহরে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকে বাড়তি দিতে চাইছেন না। দিলীপ বাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সরকার চালাবেন নাকি পার্টি চালাবেন বুঝতে পারছেন না। খুব টেনশনের মধ্যে আছেন তিনি। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গ – দক্ষিণবঙ্গ করতে হচ্ছে। কারণ, পার্টিতে আর কেউ নেই।’ তবে বিজেপি শিবির যতই গুরুত্ব না দিক, তৃণমূল সুপ্রিমোর এই উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে আশায় বুক বাঁধছেন উত্তরের তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা। এখন দেখার মঙ্গলবারের সভা থেকে কী বার্তা দেন তিনি।