অবতক খবর,১৭ নভেম্বর,রূপম রায় নদীয়া: আগাগোড়াই তিনি ছিলেন ধর্ম প্রচারক এবং সেটাই তার প্রধান পরিচিতি কারণ তিনি স্বনামধন্য বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী বাড়ির সুসন্তান। নদীয়ার শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক হওয়ার পরেও নিজের অবস্থান থেকে এতটুকু সরে আসেননি বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী।
সোমবার সন্ধ্যায় শান্তিপুর এলাকায় একটি বাড়ির ভাগবত পাঠের অনুষ্ঠানে বিধায়ক হিসেবে নয়, ধর্মপ্রচারক ব্রজকিশোর গোস্বামীকে এলাকার মানুষ সেই আগের মতই ফিরে পেলেন। নিজেই করলেন ভাগবত পাঠ। করলেন কৃষ্ণ নাম সংকীর্তন। প্রতি মুহূর্তেই সবাইকে বলে এসেছেন, বিধায়ক হিসাবে না ভেবে আপনাদের ধর্ম প্রচারক হিসেবে আমাকে ডাকবেন। আমিও এখনও একজন ভাগবত পাঠক। শান্তিপুর শহর এবং হরিপুরের সংযোগস্থলে মেলেরমাঠে এক বাড়িতে উত্থান একাদশী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।সোমবার সন্ধ্যায় হাজির হয়েছিলেন বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী প্রচুর মানুষ।
সকলেই নিজেদের সেই ধর্ম প্রচারক হিসেবে ব্রজকিশোর গোস্বামীকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।ব্রজকিশোর গোস্বামী জানিয়েছেন, এই উত্থান একাদশী অনেক নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হয় ।সেই নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে তিনি নিজেও আগের মতই পালন করছেন। বিধায়ক হিসেবে গুরু দায়িত্ব পালনের পর, কিভাবে মিলবে সময়?
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী 18 ঘন্টা কর্তব্য করার পরও ছবি আঁকা গান, গাওয়া নানান বিষয়ে পারদর্শী। তাঁর অনুগামী হিসেবে, এ তো সামান্য ব্যাপার।
ভক্তদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আগামীতে যেকোনো জায়গায় ধর্ম প্রচার করার উদ্দেশ্যে যেতে তিনি প্রস্তুত! তবে বিধায়ক কথাটি উচ্চারণ করলে হবে না, কারণ পৃথক দুটি সত্তা, গুলিয়ে ফেললে চলবে না।