অবতক খবর,১৯ মার্চ:  বিয়ের পর থেকে অতিরিক্ত পনের দাবি শ্বশুর বাড়ির, বাধ্য হয়ে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী এক গৃহবধু। এমনটাই অভিযোগ করছেন আত্মঘাতী গৃহবধুর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে চোপড়া ব্লকের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তিন মাইল গোয়াবাড়ি এলাকায়, আত্মঘাতী গৃহবধুর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিগত দুবছর আগে চোপরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সুরভী পল্লী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ জালালউদ্দিনের একমাত্র কন্যা গুলজাহান খাতুনের সাথে চোপড়া ব্লকের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তিন মাইল গোয়াবাড়ি এলাকার নিবাসী এনারুল হকের পুত্র মোহাম্মদ মুক্তার এর সাথে বিবাহ হয়, পাত্রপক্ষের দাবি মতন পনের যাবতীয় মিটিয়ে দেওয়া হয়।

তবে বিবাহের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অতিরিক্ত পনের দাবি করতে থাকে গুলজাহানের শাশুড়ি সেবেরা খাতুন সহ শশুরবাড়ি পরিবার,দিনেরপর দিন অতিরিক্ত পনের দাবি চাওয়ার মাত্রা বাড়তে থাকে,সম্প্রতি গৃহবধূ গুলজাহান তার বাপের বাড়িতে এসে বিষয়টি জানায়,এর পর শশুরবাড়িতে ফিরে যায়,তবে গত ১৪ই মার্চ গুলজাহান হঠাৎ বিষ পান করে।

তাকে প্রথমে চোপড়া ব্লক দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র এর পর ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোম, ১৮ই মার্চ রাত্রি একটা নাগাদ গুলজাহানের মৃত্যু সংবাদ আসে তার পরিবারের কাছে, কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন সহ আত্মীয় স্বজন, গুলজাহানের পরিবারের স্পষ্ট দাবি তাদের মেয়েকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে, এ বিষয়ে আজ বেলা ১২ টা নাগাদ গুলজাহানের শশুর বাড়ির ওপর চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আত্মঘাতী গুলজাহানের পরিবার।