অবতক খবর,৩ জুলাইঃ নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্গত শিবদাসপুর গাজীপুর হাট অঞ্চলে দুদিন আগে জনসভা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনি এখন বিভিন্ন জায়গায় ভোট প্রচার, জনসভা,মিছিল ইত্যাদি করছেন। এই জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীর আসার কথা ছিল সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টায়। সেই কারণে জমায়েতও হয়েছিল প্রচুর। দলীয় নেতাকর্মীরা তো ছিলেনই,সেই সঙ্গে ছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সময় বাড়াতে না গড়াতেই ভিড় কমে আসে। কিন্তু এই জনসভায় ঠিক উল্টো চিত্র ধরা পড়ল। সময় যত এগোতে লাগলো ভিড় তত বাড়তে থাকে। সাড়ে ছ’টার জায়গায় শুভেন্দু অধিকারী জনসভায় এলেন রাত ন’টায়। মঞ্চে উঠেই তিনি সর্বপ্রথম ক্ষমা চেয়ে নিলেন।

তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই বলেন,”যতদূর চোখ যাচ্ছে এবং যতদূর ভিড় রয়েছে শুধুমাত্র চোখে পড়ছে সংখ্যালঘু ভাইদের ভিড়। দেখে খুব ভালো লাগছে যে, এত সংখ্যক সংখ্যালঘু ভাইরা আমাদের দলের সমর্থক।”

ওই অঞ্চলটি মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চল। শুভেন্দু অধিকারীর জনসভাকে কেন্দ্র করে কোনরকম বিশৃঙ্খলা যাতে সৃষ্টি না হয় সেই কারণে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। শেষমেষ সুষ্ঠুভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর এই জনসভা সম্পন্ন হয়েছে।

অন্যদিকে যে সকল সংখ্যালঘু ভাইয়েরা এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য শুনেছেন।

সাধারণত বলা হয় সংখ্যালঘু শ্রেণী বিজেপি দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এইখানে তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা গেল এবং যার পর নাই শুভেন্দু অধিকারীও হয়তো বুঝতে পারেননি যে সংখ্যালঘু ভাইদের এইরকম উপস্থিতি থাকবে। যার জন্য তিনি তাদের বারবার ধন্যবাদ জানান।

তবে এই খবর চাউড় হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে শাসক শিবিরে। কিভাবে এবং কেনই বা সংখ্যালঘু ভাইয়েরা বিজেপির সভার স্থলে গেল আর কেনই বা তারা বিজেপিকে সমর্থন করল!

অন্যদিকে গতকাল এই সভারই পাল্টা সভা এবং পলাশি-মাঝিপাড়া অঞ্চলে। যেখানে কাঁচরাপাড়া থেকে প্রচুর মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মিছিলে। যাতে সংখ্যাটা বিজেপির ওই জনসভার ভিড়ের থেকে বেশি দেখানো যায়। ফলতো, এই নির্বাচনে এই অঞ্চলে যে পঞ্চায়েতের লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হবে তা আর অপেক্ষা রাখে না।