অবতক খবর,১৯ ফেব্রুয়ারি: তৃণমূল দল থেকে ৪-৫টি ওয়ার্ডে এমন প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন সে বিষয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে তো বটেই, কাঁচরাপাড়ার জনমানসেও এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এমন কিছু কিছু কেন্দ্রে প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন যাদের কোনোদিন দলীয় কর্মী হিসেবে দেখাই যায়নি। ওয়ার্ডের জনসংযোগের কাজ বা করোনার বিপর্যয়কর পরিস্থিতি, সেই সময়ে তাদের কোনো কাজ করতেই দেখা যায়নি এবং তিনি যে তৃণমূল কর্মী ওয়ার্ডের লোকই জানে না। অদ্ভুতভাবে এই সমস্ত কর্মীরাই মনোনয়ন পেয়ে গিয়েছেন। ‌

এমন কিছু কিছু কর্মী মনোনয়ন পেয়েছেন তারা বিভিন্ন দল করেছেন। কোনো সময় সিপিএম,কোন সময় বিজেপি, আবার তৃণমূল— এইরকম কর্মীও মনোনয়ন পেয়েছেন।

জনসাধারণের মধ্যে এও রহস্য সৃষ্টি করেছে যে, ৫ নং ওয়ার্ডে প্রথমে রামা গিরির নাম ঘোষিত হলেও কোন রহস্যময় কারণে সেখানে প্রার্থী বদল করা হলো?

৪ নং ওয়ার্ডের প্রার্থীর জনসংযোগের ভূমিকা কি? ২৪ নং ওয়ার্ডের অশোক মন্ডলের নাম ঘোষিত হওয়া সত্ত্বেও এই ওয়ার্ডের প্রার্থী বদল হলো কেন?

এমনকি ৩ এবং ১৩ নং ওয়ার্ডেও প্রার্থী বদল করা হলো কেন?

বিশেষকরে ১৩ এবং ২৪ নং ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে যে দুই দাপুটে প্রার্থীরা বর্তমানে নির্বাচনে লড়ছেন, কি কারণে তাদের নাম প্রথম পর্বে ওঠেনি, এটিও তাদের কাছে রহস্যময়। অনেক ওয়ার্ডে দেখা গেছে যে,যিনি প্রার্থী তিনি সেই ওয়ার্ডের সঙ্গে যুক্ত নন। কেন এমন ঘটনা ঘটেছে,এ নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।

 

আরো প্রশ্ন উঠেছে, যিনি এখনো যুবনেতা, যিনি কোনোমতেই দলবদল করেনি, যিনি প্রাক্তন কাউন্সিলর ও সমাজসেবী বলে পরিচিত, সেই সুজিত দাস যাকে একডাকে মানুষ যাকে জল বাপি বলে চেনে তিনি কোন অদৃশ্য অঙ্গুলি হেলনে মনোনয়ন পেলেন না!

তিনি এক্ষেত্রে কোনোভাবে কি রাজনৈতিক গোষ্ঠীবাজির শিকার হয়েছেন?