অবতক খবর,১৭ ফেব্রুয়ারি: অফিসার্স কলোনিতে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিধায়ক সুবোধ অধিকারী ভোটের বিষয়েও ছাড় পেলেন না। সেখানে বিভিন্ন বিষয় ও কাঁচরাপাড়ার পরিস্থিতি নিয়ে গল্পোচ্ছলে আলোচনা চলছিল। বহু মানুষ তাঁকে ঘিরে ধরেছিলেন। বহু পরিচিত,অপরিচিত মুখ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল টাউন সভাপতি এবং ১৫ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী অশোক তালুকদার এবং কয়েকজন তৃণমূল কর্মী।

 

তিনি অবতক-এর প্রতিবেদদকে দেখে বলেন,জানেন ওনার বয়স কত? আচ্ছা আগে আপনিই বলুন,এই বয়সটা এইভাবে ধরে রেখেছেন কি করে? যাই হোক, হাসিখুশি মুডে ছিলেন তিনি। তিনি গ্ৰীন টি খেলেন।খেলেন কয়েকটা ফুচকা।

তারপর আলোচনায় চলে এলো পৌর নির্বাচনের বিষয়টি। তাঁকে জানানো হলো,৪ নং ওয়ার্ডে একটা নীরব সন্ত্রাস চলছে। বিজেপি প্রার্থী যথাযথভাবে প্রচার করতে পারছেন না। ভয় পাচ্ছেন। তিনি এলাকায়ও কিছুদিন ছিলেন না। সুবোধ অধিকারী বলেন,এ বিষয়ে আমার কাছে কোন খবর নেই। এ তো আমি জানি না। তবে এ বিষয়ে প্রার্থী আমাকে অভিযোগ জানাতে পারেন,থানায় অভিযোগ জানাতে পারেন। অতিরিক্তভাবে তিনি পরিষ্কার বলেন, এখানে যারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন,আমি খোলাখুলি বলছি, সিপিএম যে তরুণ নতুন মুখ দিয়েছে সেটা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।

তবে সিপিএম জিতছে না কেন? এই প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন,প্রার্থী ভালো হতে পারে, কিন্তু বর্তমানে যে রাজনৈতিক প্রবাহ তা সিপিএমের পক্ষে নেই। প্রার্থীর কথা আমি বলব না। মানুষ সিপিএমকে পছন্দ করছে না,তাই তারা ভোট পাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে আমি বলি, গণতন্ত্রে বিরোধী দল থাকা অত্যন্ত জরুরি। নাহলে আমাদের ভুলভ্রান্তি ধরবে কে? আমি কথা দিচ্ছি,যে যার মতো ভোট দেবে, নিরপেক্ষ ভোট হবে। আর এই বিশ্বাস আমাদের। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনমুখী যে সমস্ত প্রকল্প পরিকল্পনা নিয়েছেন,এর পরে আমাদের কিছু আর হারানোর আছে বলে আমি মনে করি না। মানুষ এই স্বার্থেই ভোট দেবে। সেখানে গা জোয়ারির কোনো প্রশ্নই ওঠে না।‌বিরোধিরাও নির্বাচনে জিতুক,লড়াই করুক।

এ প্রসঙ্গে টাউন সভাপতি অশোক তালুকদার বলেন যে,হ্যাঁ, রাজনৈতিকভাবে যদি কোন লড়াই হয় সেই লড়াইয়ে তৃণমূল কিছুতেই বাধা দেবে না বা এখনো দিচ্ছে না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট হোক,আমরাও এটা চাইছি।

 

এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন আলোচনা চলে আসে। কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা, বিশেষ করে সিপিএম পার্টির ভূমিকা এবং এই অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব অজিত তালুকদারের বামপন্থী জীবন। অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ,তাঁর কর্মকাণ্ড,রাস্তায় দাঁড়িয়ে হেঁকে কালান্তর বিক্রির প্রসঙ্গ এবং প্রগতি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা পর্বে অজিত তালুকদার এবং তাঁর সহধর্মিণীর যে ত্যাগ এসব প্রসঙ্গ উঠে আসে।

পরবর্তীতে অজিত তালুকদারের জীবনের কর্মকাণ্ড জানতে পেরে সুবোধ অধিকারী বলেন, নির্বাচন পরবর্তীকালে তাঁর সম্পর্কে স্মরণ, আলোচনা নিয়ে একটা পর্ব নিশ্চিত হতে পারে। তিনি আরো জানিয়ে দেন, নির্বাচন পর্বে লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়,বাপ্পি লাহিড়ীকে নিয়ে একটি স্মরণ এবং শ্রদ্ধানুষ্ঠান হবে।