অবতক খবর,১৪ এপ্রিল: করোনা বিপর্যয় ভারতবর্ষকে একটা অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে এনে ফেলে দিয়েছে। এই লকডাউন পর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ত্রাণজনিত ক্রিয়া-কলাপ দেখা যাচ্ছে। বীজপুর অঞ্চলেও বিজেপি কর্মীরা বিভিন্নভাবে ত্রাণে নেমেছেন। তারা লকডাউনের দিন থেকে শুরু করে আজ শুভ নববর্ষ পর্যন্ত তাদের ত্রাণ প্রক্রিয়া তো চালু রেখেছেনই এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে তারা দমকল বাহিনীর সাহায্যে স্যানিটাইজেশনের কাজও শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে কয়েকটি ওয়ার্ডে, মন্ডল বাজারে,৭ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় স্যানিটাইজেশন হয়ে গেছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় এটি, বিজেপির যারা পুরোনো কর্মী,যারা এতদিন সক্রিয় ছিলেন তাদের আর ক্রিয়াশীল ভূমিকায় তেমনভাবে দেখা যাচ্ছে না। নতুন বিজেপি কর্মীরা নতুন উদ্যমে কাজে নেমে পড়েছেন। তাদের এই কর্মোদ্যোগে সহযোগিতা করছেন বীজপুর বিধায়ক,যিনি বর্তমানে বিজেপি দলভুক্ত হয়েছেন, শুভ্রাংশু রায়। তিনি বিজেপি কর্মীদের সহযোগিতা করছেন। এছাড়াও তাদের সহযোগিতা করছেন ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং। বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন ত্রাণ কার্যের সময় তারা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। কিন্তু সেই পুরনো কর্মীদের দেখা যাচ্ছে না।
এর কারণ কি? অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, বর্তমান সাংসদকে তারা পছন্দ করছেন না। কারণ যে ত্রাণ ব্যবস্থাটি এখানে চালু আছে,বীজপুরে যে মন্ডল সভাপতি বা মন্ডলের যে উচ্চ নেতৃবর্গ রয়েছেন তাদের হাতে সেই দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে বীজপুর বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এবং ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ রয়েছে। তারা বলছেন যে, ব্যারাকপুর বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিং তিনি যখন এই বীজপুর মন্ডলে ঢুকছেন তখন, যারা সভাপতি যারা সম্পাদক যারা উচ্চ নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি তাদের কিছু জানাচ্ছেন না। তাদের অজ্ঞাতসারেই তিনি এলাকায় ঢুকে যাচ্ছেন। এই বিলি বন্টনে হাত লাগাচ্ছেন। অর্থাৎ তাদের অঞ্চলের যে বিজেপি নেতৃবর্গ তাদের তিনি কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ফলে বীজপুর অঞ্চলে বিজেপি দলের মধ্যে একটি ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, এখানে ইতি মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে।
এই অঞ্চলে লকডাউন চলছে, বিজেপির যে জেলা সভাপতি তিনিও এই অঞ্চলে এখনো পর্যন্ত পদার্পণ করেননি এবং এইখানে বিজেপির কি অবস্থা বা ত্রাণকার্যে কি করা যায় এমন কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন কিনা তাও জানা যাচ্ছে না।